ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রানা প্লাজা ধস : ইমারত নির্মাণের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৮, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রানা প্লাজা ধস : ইমারত নির্মাণের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

সোমবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশে মামলাটি স্থগিত রয়েছে। তাই আসামিপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ১ মার্চ ধার্য করেছেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ২০১৫ সালের ১ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র এএসপি বিজয় কৃষ্ণ কর। পরে গত বছরের ১৪ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার আসামিরা হলেন- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মাদ আলী খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, নিউওয়েব বাটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বজলুস সামাদ আদনান, সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সারোয়ার কামাল, আমিনুল ইসলাম, নিউওয়েব স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুর রহমান তাপস, ইথার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ওরফে আনিসুজ্জামান, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, নান্টু কন্ট্রাকটার এবং রেজাউল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে ওই ভবনে থাকা বিভিন্ন পোশাক কারখানার ১ হাজার ১১৭ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১৯ জন মারা যান। ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। মৃতদের মধ্যে ৮৪৪ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা রেখে ২৯১ জনের অশনাক্ত লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। জীবিত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১ হাজার ৫২৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন ৭৮ জন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়