ব্যারিস্টার আমীরের ফোন ১৫ মিনিট আদালতের হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির সময় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলামের মোবাইল ফোন বেজে ওঠায় তা ১৫ মিনিটের জন্য জব্দ করেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

শুরুতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষে শুনানি করতে ডায়াসের সামনে আসেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। শুনানির একপর্যায়ে ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলামের মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। এ সময় ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলামের উদ্দেশে হেসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। আপনাকে যদি কনসিডার (বিবেচনা) করি তাহলে অন্যরা ভাববে সিনিয়র দেখে কনসিডার করা হলো। আপনার মোবাইল ফোনটি দেন। এটা ১৫ মিনিটের জন্য সিজ (জব্দ) করা হলো, আদালতের হেফাজতে নেওয়া হলো।’

ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলামও হাসি মুখে মোবাইল ফোনটি বেঞ্চ অফিসারের হাতে তুলে দেন। এরপর আবার শুনানি শুরু হয়।

সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী, মামলা চলাকালীন আদালতকক্ষে মোবাইল ফোন বেজে উঠলে তা জব্দ করার এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেলোয়ার হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, আদালতকক্ষে মোবাইল ফোন বেজে উঠলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল জব্দ করা সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য, অলিখিত নিয়ম।

নিজের বিচারিক জীবনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, একবার আদালত চলাকলীন আমার ফোন বেজে উঠেছিল। তখন আমার নিজের ফোন বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জব্দ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলাম।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/এসএন