ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বুয়েটের তিন শিক্ষককে হাইকোর্টে তলব

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বুয়েটের তিন শিক্ষককে হাইকোর্টে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তিন ছাত্রীকে টিজ করা ও এক ছাত্রের ওপর  শারীরিক হামলা চালানোর বিষয়ে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিতে তিন শিক্ষককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

তিন শিক্ষক হলেন, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. কামরুল আহসান, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও কমিটির সদস্য ড. মো. মাকসুদ হেলালী এবং পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রওশন মমতাজ। তাদেরকে ২৪ জানুয়ারি হাজির হয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ  এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এবিএম আলতাফ হোসেন।

পরে ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে র‌্যাগিংয়ের ইভটিজিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তিন ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিন আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিষয়ক একটি শাস্তি দেয়।

এর বিরুদ্ধে ওই সময়ে তিন ছাত্রী হাইকোর্টে রিট করেন। 

আইনজীবী আলতাফ হোসেন জানান, র‌্যাগিংয়ের সময় ওই তিন ছাত্রী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করেন। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। কমিটি ওই বছর ৩ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এদিকে  তিন ছাত্রী বিভিন্ন চাপে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেও ২৭ জুলাই তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়।

ওই শাস্তির আদেশে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইভটিজিংয়ের বিষয়ে তোমার দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগপত্রের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ এবং বোর্ড অব রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিনের সামনে তোমার বক্তব্য পূঙ্খানুপূঙ্খভাবে পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে অপরাধ নির্ধারণপূর্বক অর্ডিনেন্স রিলেটিং টু দ্য বোর্ড অব রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিন এর ৫ এবং ২৪ ধারা অনুযায়ী সর্বসম্মতভাবে তোমাকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন বর্ণিত শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এক. তোমাকে চলতি টার্মসহ পরবর্তী দুই টার্মের জন্য (মোট তিন টার্ম) একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হলো।

দুই. তোমাকে আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো/আবাসিক ছাত্রী হওয়ার অনপুযুক্ত।

তুমি ইচ্ছা করলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের নিকট আপিল করতে পারবে।’

পরে একাডেমিক কাউন্সিলে  শাস্তির আদেশ বহাল থাকে।

আলতাফ হোসেন আরও জানান, তাদের এই শাস্তি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলোজি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ এর ধারা ৬ এর লংঘন। শাস্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে ওই বছরের আগস্টেই হাইকোর্ট তাদের শাস্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন।

সেই রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু বুয়েটের আইনজীবীর উপস্থাপিত ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেছে।

এ কারণে প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্ত কমিটির তিন সদস্যকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আদালত তলব করেছেন বলে জানান আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জানুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়