ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮.৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার দায়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রাক্তন চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার ঢাকার মতিঝিল থানায় দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম, সংস্থাটির প্রাক্তন উপ-পরিচালক (এস্টেট) এ আর ভুইয়া, প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮.৬০ শতাংশের প্লটটির (৬ নম্বর এনইজি প্লট) মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয় যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর হচ্ছে- ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে  সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।

অবৈধ বরাদ্দ প্রদান ও দখলে রেখে ইমারত নির্মাণের দায়ে দণ্ডবিধি ৪০৯, ১০৯ ও ৪২০ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়