ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফাঁস হওয়া প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা পায় সকাল ৮টায়

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফাঁস হওয়া প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা পায় সকাল ৮টায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে যে পাঁচজনকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে তাদের একজন হাসানুর রহমান ওরফে ‘রকি ভাই’। র‌্যাবের দাবি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া রকি ভাই গত চার বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জাড়িত। ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় যে কয়টি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তার সবগুলো সে-ই করেছে।

পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, এমন আলোচনা থাকলেও র‌্যাব জানিয়েছে, পরীক্ষার দিন আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে সমাধানসহ প্রশ্ন ফাঁস হয়।

সোমবার ভোরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর উত্তরখানের কাচকুড়া ও গাজীপুরের বেগড়া বাইপাস থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন- তানভীর হোসেন, সজীব মিয়া, এনামুল হক ও মো. ইব্রাহিম। গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ও একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইসে বিভিন্ন প্রশ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।



এমরানুল হাসান আরো জানান, রকি ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। সে বিগত চার বছর ধরে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। পরীক্ষা শুরুর দুই মাস আগে থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোর মাধ্যমে প্রচারণা চালাত। প্রচারণায় সে বলত, যারা প্রশ্ন পেতে চায় তারা ২ হাজার টাকার বিনিময়ে যেন তার গ্রুপের সদস্য হয়। পরবর্তী সময়ে প্রশ্ন কমন সাপেক্ষে সে চুক্তির বাকি টাকা চাইত।

তিনি জানান, প্রতিটি পরীক্ষার জন্য রকি ভাই আলাদা গ্রুপ খুলত, যেমন : গণিতের জন্য মজা (MOJJA), ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের জন্য আড্ডা (ADDA)। এছাড়া ‘ব্লাড ডোনেশন’ নামেও সে ফেসবুকে গ্রুপ খুলে প্রশ্ন ফাঁস করত। প্রতিদিন পরীক্ষা শেষে রকি গ্রুপের নাম ও মেম্বার পরিবর্তন করত এবং নতুন মেম্বার যুক্ত করত।

রকি ভাই বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করত বলে জানান তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপারে র‌্যাব থেকে জানানো হয়, তানভীর হোসেন ক্যামব্রিজ হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। একই স্কুলে অ্যাকাউন্টিংয়ের শিক্ষক সজীব মিয়া। এছাড়া মো. ইব্রাহিম ও এনামুল হক সৃজনশীল কোচিং সেন্টারে কর্মরত আছেন। তারা রকি ভাইয়ের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে খুব কম সময়ে তা সমাধান করে হাতে লিখে উত্তরপত্র সরবরাহ করত। আনুমানিক সকাল ৮টায় প্রশ্ন ফাঁসকারীরা তাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন ও সমাধান সরবরাহ করত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/নূর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়