ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

১২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির মামলায় গ্রেপ্তার ২

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১৫ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির মামলায় গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ঢাকার মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবিদুল ইসলাম ও পরিচালক খন্দকার সুরাত আলী।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান ও পরিচালক এম হক বাবুসহ আরো পাঁচজন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি গোয়েন্দা দল ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-২৮২৩) ঢাকার ইসলামপুরে পণ্য খালাস করার পূর্বমুহূর্তে গাড়ির চালকের কাছে পণ্যের স্বপক্ষে চালান দেখতে চায়। তিনি পণ্যের স্বপক্ষে বিল অব এন্ট্রি, তানিয়া কার্গো সার্ভিসের ডেলিভারি চালান ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির চালান দেখান। কিন্তু দাখিলকৃত বিল অব এন্ট্রি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, কাস্টমস বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার আওতায় শুল্কমুক্তভাবে মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাট্রিজ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পলি সিনথেটিক ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য/কাঁচামাল আমদানি করা হয়। প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেন ইসলামপুরে আনা হলো, জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান যে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে পণ্য বোঝাই করে গাড়িটি কাঁচামাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইসলামপুর আনা হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে উক্ত গাড়ির বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান যে, পণ্যসহ গাড়িটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তানিয়া কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে ফেব্রিক্স ডেলিভারি নেওয়া হয়।

আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিনে ইনভেন্ট্রি করে। ইনভেন্ট্রিতে প্রোডাকশন ফ্লোরসহ সর্বমোট ৯২০৬.৯০ কেজি নিট ফেব্রিক্স দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আর কোনো কাঁচামাল দেখাতে পারেনি।

প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যুকৃত বিভিন্ন রপ্তানিকৃত পণ্যের পরিমাণ বিশ্লেষণপূর্বক অবৈধভাবে অপসারণের কারণে ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি তথ্যাদি উদঘাটন করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মে ২০১৮/ এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়