ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পিএসএলে সুযোগ না পেয়ে টেস্টে জ্বলেছেন ইমাম

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২১ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পিএসএলে সুযোগ না পেয়ে টেস্টে জ্বলেছেন ইমাম

ক্রীড়া ডেস্ক : টার্গেট যখন ছোট, পাকিস্তানের জন্য সেটা অস্বস্তির বটে। অল্প রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরার নজির তাদের অনেক আছে। সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও ব্যতিক্রম হয়নি। মাত্র ১৬০ রানের টার্গেট। সেই টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪ রানেই ৩ উইকেট নেই পাকিস্তানের! আজহার আলী, হারিস সোহেল ও আসাদ শফিকের মতো ব্যাটসম্যানরা শুরুতেই সাজঘরে।

এরপর মাঠে নামলেন অভিষেক হওয়া ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা ইমাম-উল-হক। খেললেন অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস। জয় নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের। কী মনোভাব নিয়ে ইমাম মাঠে নেমেছিলেন সেদিন, ‘ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আমি মাঠে নেমেছিলাম। অবশ্যই খুব চাপের মুখে আমি মাঠে নেমেছিলাম। উইকেট বোঝাটা বেশ কঠিন ছিল। কন্ডিশনও ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ছিল না। কিন্তু নিজের উপর বিশ্বাস ও কনফিডেন্স অনেক সময় আপনাকে যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে পারে। জানতাম কঠোর পরিশ্রমের ফল আমি পাব। আসলে এমন উইকেটে আপনাকে আপনার শটগুলো খেলতে হবে। আমি খারাপ বল খেলার সিদ্ধান্ত নিই। বাবর আজম ও আমি স্কোরবোর্ড সচল রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করি।’

 



আজহার আলী ইনজুরিতে পরায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে তার ওয়ানডে অভিষেক হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হইচই ফেলে দেন ইমাম। অথচ যখন তাকে স্কোয়াডে যুক্ত করা হল তখন নানানরকম সমালোচনা শুনতে হল তাকে। স্বজনপ্রীতির কারণে তিনি দলে জায়গা পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমগুলো ধুয়ে দিল প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক ও তার ভাতিজা ইমাম-উল-হককে।

এ বিষয়ে ইমাম বলেন, ‘পত্রিকার নেতিবাচক প্রতিবেদন আমার উপর চাপ তৈরি করেছিল। আাসলে রক্তের সম্পর্ক হল বাস্তবতা। এটাকে আমি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারব না। কিন্তু যখন স্বজনপ্রীতি বলে মানুষ অভিযোগ তোলে, তখন আমি তাদের সেই কথার উত্তর দিতে পারি না। আমি কেবল আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট রেখেছি এবং আমি আমার ব্যাট দিয়ে তাদের সমালোচনার জবাব দিয়েছি। আমি জানতাম যখন আমি ভালো কিছু করতে শুরু করবে তখন আর এসব সমালোচনা হবে না। আমি এও জানি এই সমালোচনা এখানেই শেষ হয়ে যাবে না। আবার শুরু হবে যখন আমি ভালো কিছু করতে পারব না। তবে এই ধরনের সমালোচনা আমার ভেতরে লড়াই করার মনোভাব তৈরি করে দেয়। নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ দেয়। সেই হিসেবে এমন সমালোচনাও আমার জন্য ইতিবাচক।’

 



শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার পর ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে লাহোর ব্লুজের হয়ে খেলেন ইমাম-উল-হক। ফাইনালে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন। টুর্নামেন্টে তিনি মোট তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ২৮৭ রান করেন। গড় ছিল ৪১। তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কিন্তু তারপরও তিনি পাকিস্তান সুপার লিগের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির একটিতেও জায়গা পাননি। তবে সেটা নিয়ে তার আফসোস নেই। যখন পিএসএল চলল, তখন ইমাম লাহোর ক্রিকেট একাডেমিতে টানা দেড় মাস কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুত করলেন টেস্টের জন্য।

ইমাম বলেন, ‘আমি পিএসএলে দল পাইনি। তাতে আমি খানিকটা হতাশ হয়েছিলাম। আমি আমার সকল হাতাশা, নিরাশা ও কষ্টকে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির দেড় মাসের অনুশীলনে সঙ্গে নিয়েছিলাম। আমি গ্রান্ট ফ্লাওয়ারকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তিনি আমাকে এই সময়ে জিম, অনুশীলনে সাহায্য করেছেন। আমার ব্যাটিংয়ের উন্নতির জন্য বিশেষ সময় দিয়েছেন। আমি দেড় মাস কঠোর পরিশ্রম করেছি। সৃষ্টিকর্তা সেই পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’

 





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৮/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়