ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুদকের অভিযান, শাস্তিতে সিজিএর ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ৫ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুদকের অভিযান, শাস্তিতে সিজিএর ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক : পেনশন, পে-ফিক্সেসন ও ঠিকাদারি বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন কাজে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম।

অভিযানে অভিযোগের সত‌্যতা পাওয়ায় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদের মধ‌্যে চারজনকে দুদকের সুপারিশে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন‌্যদিকে একজন অডিট সুপারকে দুদকের সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশে বিপরীতে তিন সদস‌্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হযেছে।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় অবস্থিত সিজিএ অফিসে ঘুষ লেন-দেন এবং পেনশনারদের হয়রানি হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার ও উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাতের সমন্বয় গঠিত ৪ সদস্যের একটি টিম অভিযান চালায়।

দুদক জানায়, কমিশনের অভিযান কেন্দ্রে এজি অফিসে যেকোনো ধরনের বিল নিয়ে গেলে ঘুষ ছাড়া পাস করানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে পেনশন, পে-ফিক্সেসন ও ঠিকাদারি বিল পরিশোধে বেশি করে ঘুষ চাওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ আসে। তাৎক্ষণিকভাবে সিজিএ অফিসে অভিযান চালায় দুদক বিশেষ টিমের সদস্যরা। অভিযানকালে, দুদক টিম মহা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার (সিএও-স্বরাষ্ট্র) কার্যালয়ের পেনশন শাখার সুপারন্ডেন্ট কাজী রমজান আলী, অডিটর সফিউল ইসলাম, মোসাম্মৎ আনোয়ারা ও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২ থেকে ৩ মাস ধরে ফাইল আটকিয়ে রেখে পেনশনারদের হয়রানির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যে জন‌্য তাদেরকে শাস্তিমূলক বদলির সুপারিশ করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে তাদেরকে দুদক টিমের পরামর্শক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে বদলির ব্যবস্থা নিয়েছে স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ।

অন‌্যদিকে সিএও স্বাস্থ‌্য এর অডিট সুপার (প্রেশাসন ও পেনশন শাখা) নুর ইসলামের বিরুদ্ধে অনুরুপ অভিযোগের বিরুদ্ধে ২০ থেকে ২৫টি ফাইল ২ থেকে ৩ মাস ধরে আটকে রাখার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন দুদক টিমের সদস্যরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয়  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) মো.  মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ  মন্তব্য করেন, ‘পেনশান কিংবা যেকোনো বিল পাস করাতে ঘুষের অভিযোগ পীড়াদায়ক। এ জাতীয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের ফাঁদ পেতে আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা হবে। আর ১০৬ এর মাধ্যমে অভিযোগ পেলেই অভিযান চালানো হবে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ নভেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়