শহিদুল আলমের হাইকোর্টে জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার জামিন বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলম হাইকোর্টে পুনরায় জামিন আবেদন করেন।
গত ২৯ অক্টোবর শহিদুল আলমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ২৯ অক্টোবর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের সাক্ষাৎকারের ভিডিও ফুটেজ দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট।
গত ৭ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় বারের মতো ড. শহিদুল আলম হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ।
গত ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ৬ আগস্ট রমনা থানায় করা মামলায় শহিদুলআলমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
শহিদুল আলমকে ৬ আগস্ট বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ নভেম্বর ২০১৮/মেহেদী/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন