ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি নাহিদ কারাগারে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি নাহিদ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন এলাকায় দুই বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর তিনতলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার মামলায় মো. নাহিদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার নাহিদকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গেন্ডারিয়া থানার এসআই হারুন অর রশিদ। নাহিদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে নাহিদ জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম নিবারা খায়ের জেসি তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারের পর নাহিদ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিন তাকে পুলিশ আদালতে হাজির করলে নিহত শিশু আয়েশা মনির মা মোছা. রাজিয়া সুলতানা, বাবা মো. ইদ্রিস ও তার মো. আলীসহ স্বজন ও এলাকাবাসী আদালতে উপস্থিত হন। তারা ধর্ষক নাহিদের ফাঁসির দাবি জানান।

জানা গেছে, দীননাথ সেন রোডের ৫৩/১/ছ নম্বর চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকত শিশু আয়েশা। প্রতিদিন সকালে আয়েশার মা-বাবা কাজে যেতেন। এ সময় গেন্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনের গলিতে খেলে বেড়াত শিশুটি। অন্য দিনের মতো গত ৫ জানুয়ারিও বিকালে খেলতে বের হয় আয়েশা। সন্ধ্যার দিকে টিনশেড বস্তির পাশের চারতলা বাড়ির সামনে আয়েশার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

আয়েশার পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া নাহিদ (৪৫) শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে ভবনের তিনতলা থেকে আয়েশাকে নিচে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ৬ জানুয়ারি শিশুটির বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

পরে নাহিদকে আটকের জন্য অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাহিদ তার বাসার খোলা বারান্দা দিয়ে অন্য বাসার ছাদে চলে যায়। কয়েকটি বাসার ছাদ পেরিয়ে পালানোর সময় সে একটি বাসার ছাদ থেকে লাফ দেয়। এতে করে তার দুই পা ভেঙে যায়। পরে তাকে হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

এদিকে ঢাকার আদালতে বাবা নাহিদের অপকর্মের সাক্ষী দিয়েছে তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা জাহান বুশরা। বাবার অপকর্মের সাক্ষী দিতে গিয়ে বুশরা জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে বাড়ির বারান্দায় বসে ছিল। এমন সময় তার বাবার কক্ষ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। পরে সেখানে গিয়ে দেখে বিছানার ওপর নাহিদের কোলে আয়েশা কান্না করছে। তখন নাহিদ তাকে ধমক দিয়ে বলে তুই এখানে কেন এসেছিস। সে ধমক খেয়ে অন্য কক্ষে চলে যায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জানুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়