ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালকের বিপুল সম্পদ, দুদকের নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে রাজধানীতেই পাঁচটি বাড়ি, গাজীপুরে ৩০ একর জমি, এবং তার জন্মভূমি কুমিল্লাতে একরের পর একর জমি রয়েছে।

অন্যদিকে রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী সালাম পারভীনের নামেও কুমিল্লাতে জমিজমা ছাড়াও পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।

ওই ‘বিপুল’ পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পেয়ে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক। রোববার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরার ৫নং সেক্টরের ২নং রোডে সাত তলা একটি বাড়ি আছে। আর মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট বাড়ি, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ডি ব্লকে ২০২ নং ৪ দশমিক ৫ কাঠা জমির ওপর পাঁচটি দোকান ও টিনসেড বাড়ি এবং পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমি ওপর বাড়ি করেছেন রমিজ উদ্দিন।

‘এছাড়া ঢাকার সাথে টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে রমিজ উদ্দিনের ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরে একরে জমি। জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি।’

পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা আছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

এছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

২০১৮ সালের শেষ দিকে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান এ অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জানুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ