ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এএসপির যৌতুক মামলা : ঢাবি শিক্ষকসহ ৫ জনের বিচার শুরু

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২৪ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এএসপির যৌতুক মামলা : ঢাবি শিক্ষকসহ ৫ জনের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের মামলায় স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সহকারি অধ্যাপক খালেদ মাহমুদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

রোববার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন এ চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ১ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

বিচার শুরু হওয়া অপর ৪ আসামি হলেন, খালেদ মাহমুদের বাবা মোমতাজ আলী শেখ, মা মাহমুদা সুলতানা, ভাই মাজিদ মাহমুদ ও শারমীন সুলতানা।

এদিন চার্জগঠনের শুনানিকালে আসামি পক্ষে আইনজীবী সাইদুর রহমান মানিকসহ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ও বাদীর ব্যক্তিগত আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খানসহ কয়েকজন আইনজীবী চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

র‌্যাবের প্রাক্তন মহাপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানের মেয়ে এএসপি নাজিজা রহমান ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর রাজধানীর ভাটারা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, আসামি খালেদ মাহমুদের সঙ্গে ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। পরে সে আরও ৫০ ভরি স্বর্ণ এনে দিতে এবং একটি ফ্ল্যাট লিখে দিতে বলে। যা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ২০১৮ সালের ২ ও ৯ নভেম্বর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় তাকে মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং মারধর করা হয়।

মামলাটি তদন্তের পর ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ইন্সপেক্টর মোহাম্মাদ জুয়েল মিয়া আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামি খালেদ মাহমুদ একই থানায় ধর্ষণের একটি মামলায় ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পরে যৌতুকের আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে উভয় মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। মামলার অপর আসামিরা জামিনের রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের মামলাটি করেছেন এ মামলার আসামি শারমীন সুলতানার স্বামী জনৈক আবেদীন। ধর্ষণ মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাদী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী শারমীন সুলতানাকে আসামি খালেদ বিভিন্ন সময় মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ প্রমের সম্পর্ক তৈরি করে এবং পরে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মার্চ ২০১৯/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়