ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কলেজছাত্র ইরাম নিহত : চালক-হেলপার রিমান্ডে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৫, ৬ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কলেজছাত্র ইরাম নিহত : চালক-হেলপার রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ডেমরার গোলাম মোস্তফা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইবনে তাহছিম ইরাম নিহতের মামলায় রমজান পরিবহনের চালক  ও হেলপারের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- চালক মো. শামীম ও হেলপার মুন্না মিয়া।  এদের মধ্যে শামীমের তিন দিন ও মুন্নার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার এসআই মো. আশরাফ আলী আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার হতে রামপুরাগামী রমজান পরিবহনের বাসের ড্রাইভার শামীম হেলপার মুন্নার সহযোগিতায় দ্রুত ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করে বিপরীত দিক থেকে আসা তাসনীম ইবনে ইরামকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।  এতে ঘটনাস্থলেই ইরাম মারা যান।

আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই ও ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতা যাচাই-বাছাই করা  হচ্ছে।  ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতা যাচাই ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  একইসঙ্গে তিনি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেন।

আসামিপক্ষে আইনজীবী এস এম জাকির হোসাইন রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘শামীম রমজান বাসের ড্রাইভার, তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে।  আর এ দুর্ঘটনা এ বাসটি ঘটায়নি, রমজান পরিবহনেরই আরেকটি বাস ঘটিয়েছে।  পুলিশ সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।  আমি তাদের রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করছি।’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত শামীমের তিন দিন এবং মুন্নার একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিকে একই আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন।

ইরাম নিহতের ঘটনায় তার চাচা মো. সফিউদ্দিন শুক্রবার ডেমরা থানায় রিমান্ডে যাওয়া ওই দুইজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার সেজ ভাই দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে তাসনিম ইবনে ইরাম ডেমরার গোলাম মোস্তফা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।  ৫ এপ্রিল বেলা ১১ টা ৩৫ মিনিটের দিকে বাইসাইকেলে করে মোস্তমাঝির মোড় হয়ে বাড়ি ফিরছিল।  বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে স্টাফ কোয়ার্টার হতে রামপুরাগামী রমজান পরিবহনের বাস নং-ঢাকা মেট্টো-ব-১৫-৩৬৮৭ এর গাড়ির ড্রাইভার শামীম এবং হেলপার মুন্নার সহযোগিতায় দ্রুত ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করে বিপরীত দিক থেকে আসা তাসনীম ইবনে ইরামকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।  এতে ঘটনাস্থলেই ইরাম মারা যান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ এপ্রিল ২০১৯/মামুন খান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়