ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চাকরি থেকে বরখাস্তের কারণ যা বলবেন

এফ এ শোভন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৫, ১৮ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চাকরি থেকে বরখাস্তের কারণ যা বলবেন

প্রতীকী ছবি

এফ এ শোভন : যখন চাকরির সাক্ষাতকারের সময়ে আমরা অপেক্ষা করতে থাকি তখন মনের ভেতর নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। ভাবতে থাকি, আশা করি টিকে যাবো হয়তো।

হতে পারে আপনি আপনার উত্তরগুলো বার বার জপ করে থাকেন এবং হয়তো অন্যদের তুলনায় আপনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। অথবা হয়তো লুকানোর মতো আপনার কিছু রয়েছে।

কখনো কখনো নতুন চাকরি খোঁজার কারণ হতে পারে, আপনি হয়তো শেষ চাকরিটা থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। কিন্তু এমতাবস্থায় আশা ছাড়বেন না। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের এইচআর-সফটওয়্যার কোম্পানি পিপল এর কনটেন্ট এবং মার্কেটিং ম্যানেজার জন ক্রাউলি বলেন, আপনাকে আগের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কিনা, তা একজন নিয়োগকর্তার জানার প্রয়োজন নেই। কারণ এটা প্রকাশের পেছনে না রয়েছে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা, না আছে কোনো প্রাসঙ্গিকতা।

তারা যদি এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাহলে অবশ্যই বুঝে নেবেন শেষ চাকরিটা ছাড়ার কারণ সম্পর্কে তারা জানতে আগ্রহী। কিংবা আপনার নতুন চাকরি খোঁজার পেছনের কারণটা কি? বহিষ্কার হবার বিষয়টি কথোপকথন থেকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করুন।

আপনি যদি কারণগুলো বলতে শুরু করেন যে, কেন আপনি চাকরিটা ছাড়লেন তাহলে পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ নিজের জালে নিজেই ফেঁসে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তখন কথাটা এরকম হতে পারে যে, আপনি আপনার আগের নিয়োগকারীকে অপবাদ দিচ্ছেন। যা কারো ওপর কলঙ্ক চাপিয়ে দেবার মতো একটা ব্যাপার।

তার থেকে আপনি যদি এর পেছনে কোনো নিরপেক্ষ যুক্তি দাঁড় করাতে পারেন সেটা আপনার জন্য মঙ্গলজনক হবে। যেমন ধরুন বলতে পারেন, ‘সেখানকার কিছু বিষয় আমার অনুকূলে ছিল না এবং ক্যারিয়ারের একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমি নতুন চাকরি খুঁজছি। অথবা এ ধরনের কিছু।’

জন ক্রাউলির পরামর্শ, এক্ষেত্রে নিচের দুটি যুক্তি আপনি বলতে পারেন। আপনার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণ যদি সামান্য হয়ে থাকে, তাহলে এই উত্তরগুলো কাজে আসবে। তবে আপনি যদি আগে কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে তা প্রকাশ্যে আসবেই।

১. ‘আমি সেখানে চলে এসেছি কারণ সেখানে ব্যক্তিত্বের একটি দ্বন্দ্ব ছিল। চাকরিটা ছেড়ে দেওয়া তাই উভয়ের জন্যই কল্যাণকর ছিল। তবে আমার চাকরির ইতিহাস দেখুন। এটা বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি কখনোও।’

২. ‘আমি জীবনের কিছুটা খারাপ সময় পার করছিলাম। প্রায়শই দেরি করে ফেলতাম অফিসে, অনেক ভুল হয়ে যেত, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ততটা ভালো ছিল না, যা আমাকে বরখাস্তের কারণ হয়ে ওঠে। আমি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে চাই এবং আমি ক্যারিয়ারের পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। আপনি দেখতে পারেন যে আমার চাকরির ইতিহাসে এগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটেনি।’

উপরন্তু আপনি যদি আপনার দক্ষতা ও সামর্থ্য দিয়ে নিয়োগকারীকে প্রভাবিত করতে পারেন তাহলে তো কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এমন কিছু বলা বা না করাই ভালো যেগুলো অতিরিক্ত হয়ে যায় বা বিরক্তির পর্যায়ে পড়ে। সবশেষে আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার, সাক্ষাতকারে অবশ্যই রাজনৈতিক বিষয় না টানাই উত্তম।

তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মে ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়