ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভারী বুননে নয়, আরামে বেশি জোর সালোয়ার-কামিজে

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৩, ৭ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভারী বুননে নয়, আরামে বেশি জোর সালোয়ার-কামিজে

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর : দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে রমজানের ১০ দিন। ঈদ উপলক্ষে ফ্যাশন হাউজগুলোও তাই ইতিমধ্যেই নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাকে সাজিয়ে বসেছে তাদের পশরা। তবে ঈদে পোশাকের ঢং টা কেমন হবে, কোন রঙটা লাগল ফ্যাশনের পালে, ঈদ রাঙাতে এ ধরনের চিন্তাভাবনা এখন কম বেশি সবার মধ্যেই।

বরাবরের মতো এবারো ঈদে রমণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাহারি রঙের কামিজগুলো। দেশি এবং বিদেশি ডিজাইনের মিশেলে উন্নত কাপড় এবং উজ্জ্বল রঙের কামিজগুলো নিমেষেই মন কেড়ে নেবে যেকোনো নারীর। পাঞ্জাবি গলা এবং হাইনেকের কামিজের প্রতিও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে অনেকের। হাতা কাটা, লম্বা হাতা এবং কনুই পর্যন্ত হাতা সহ উজ্জ্বল নকশায় সেজেছে এবারের ঈদ পোশাকগুলো।

একটু ঢিলেঢালা আর আরামদায়ক করে তৈরি করা এসব কামিজগুলোকে ফ্যাশনের ধারা বজায় রেখে করা হয়েছে একটু লম্বা। ফ্যাশনপ্রিয় নারীদের পছন্দের তালিকায় বেশ ভালোভাবেই জায়গা দখল করে নিয়েছে সিঙ্গেল কামিজগুলোও। ফ্যাশনের পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিটি ফ্যাশন হাউজে পরিবর্তন আনা হয়েছে কুর্তা ও কামিজের কাটিং প্যাটার্নে। কিছু কামিজের নিচে, হাতার শেষে চওড়া বর্ডারে বসানো হয়েছে সাটিন বা কাতানের পাড়। আর এসবের মাঝে দেখা যাবে ফতুয়ার মতো এবং বুকচেরা কামিজগুলোও।

সালোয়ার-কামিজে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে গলা ও হাতায়। এবার অফ শোল্ডার বা কাঁধ থেকে একটু নামানো সালোয়ার-কামিজও খুঁজছেন অনেকে। হাতায় এবার ঢোলা কাট বা চোস্তের মতো কুঁচি কিংবা বাটন দেওয়া থাকবে। গরমের কারণে আরামের বিষয়টাও থাকছে উপকরণে।

এবারের ট্রেন্ডে ঘের বেশি দেওয়া ফ্রক স্টাইলের কামিজও রয়েছে। আবার সাধারণ ছাঁটের কামিজের চাহিদাও রয়েছে বেশ। হাতার ক্ষেত্রে থ্রি-কোয়ার্টারই চলছে বেশি। তবে যেহেতু গরমকাল, সেহেতু স্লিভলেসও থাকছে। কামিজের ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে রয়েছে বাহারি সব সালোয়ার এবং ওড়নাও।

লম্বা কামিজের সাধারণ ঝুলের পাশাপাশি রয়েছে ত্রিকোণ ঝুলও। দুই পাশ দিয়ে একটু বাড়িয়ে দেওয়া ঝুল আবার সামনে পেছনে অসমান কাটের কামিজ কিনছেন টিনএজাররা।

রোদ-বৃষ্টির সময় বলে এবার ভারী বুননে নয়, আরামে বেশি জোর দিতে দেখা যাচ্ছে ফ্যাশনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবাইকে। কাপড় হিসেবে সুতিই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানালেন ডিজাইনাররা। এছাড়া অ্যান্ডি কটন, সিল্ক, হাফসিল্ক, আর কাতানটাও চলছে বেশি। রঙয়েও এসেছে বৈচিত্র। লাল, নীল, মেরুন, সবুজ, ফিরোজা, ম্যাজেন্টা, কমলা, গোলাপিসহ নানা উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ে। পোশাকের জৌলুস বাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে লেইস, চুমকি, গ্লাস, পুঁতি, ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, অ্যাপ্লিক আর কুচি। কামিজের গলায়, বুকে ও হাতায় ভারি কাজ করে নিয়ে আসা হচ্ছে নান্দনিকতা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নামের দিক থেকে এবারের ঈদে সালোয়ার-কামিজের মধ্যে বিবেক, বিনয়, গঙ্গা, রাখি, সাইবা, ইস্তা সহ বুটিকসের কিছু কামিজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। প্রায় সবধরনের কামিজগুলোই রয়েছে সুতি এবং জর্জেট কাপড়ে। তবে আরিকাজের পোশাকগুলোই কটনের মধ্যে স্পেশাল বলে জানান বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের দীপ্তি মনি ফ্যাশনের দীপ্ত চন্দ্র পল। আর এই পোশাকগুলো তিন থেকে সাত হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

 


পড়ুন :

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুন ২০১৭/সাগর/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ