ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দম ফেলার সময় নেই দর্জি পাড়ায়

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ২১ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দম ফেলার সময় নেই দর্জি পাড়ায়

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর : পোশাকের নতুন বৈচিত্র আর সাইজের হেরফের এড়ানো ছাড়াও নতুন পোশাক বানাতে জুড়ি নেই দর্জিবাড়ির।

বাহারি রঙের গজ কাপড় আর নানান নকশার সেলাইছাড়া থ্রিপিস নিয়ে পছন্দের পোশাক বানাতে ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম টেইলার্সগুলো। তাই ঈদের আগের শেষ সময়টাতে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে সেলাইঘরের লোকজনের।

বিভিন্ন লেডিস টেইলার্স, টপটেন, রেমন্ড, বেলমন্টি সহ ঈদের আগ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরের ছোট বড় সব টেইলরিং শপগুলোর দর্জিরা। ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা তাদের মনের মতো পোশাক বানাতে ছুটে যান দর্জির দোকানে। নিজস্ব ধাচের পোশাকগুলো যেখানে বানানো যায় খুব সহজেই।

রাজধানীর নিউমার্কেটে পোশাক বানাতে আসা ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী তাহমিনা আহমেদ বলেন, ‘ঈদের সময় সবাই চায় নিজের নতুন পোশাক দিয়ে অন্যকে চমকে দিতে। রেডিমেড পোশাকের দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক বানানো হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, সেখান থেকে কেনা পোশাকটির আর নিজস্বতা থাকে না। এজন্য প্রতিবারই ঈদে নিজের পছন্দমতো কাপড় কিনে দর্জির কাছে বানাতে দেই।’

‘দর্জিপাড়া’ খ্যাত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র রমনা ভবন, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, গাউসিয়া, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও মিরপুরের বিভিন্ন টেইলার্সে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কাপড় তৈরি কারিগরদের এখন দম ফেলার সময় নেই। ১৫ থেকে ২০ রমজানের মধ্যে শুরু হওয়া এই ব্যস্ততা চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত।

এ ব্যপারে ধানমন্ডির প্যারাডাইস টেইলার্সের মাস্টার মো. হান্নান বলেন, ঈদ সামনে রেখে দিনরাত ১৬ থেকে প্রায় ২০ ঘণ্টা পরিশ্রম করছেন তারা। তবে এবার ঈদ উপলক্ষে লং কামিজ, জিপসি, কোণা কাটা, আনার কলি, বাইশ কলি ডিজাইন নামে জামার কাপড়ের চাহিদা বেশি। রয়েছে ছেলেদের বিভিন্ন পেশাকও। এবার কাজের চাপও বেশি বলেও জানান তিনি।

সেলাইয়ের ধরন ও নকশার ভিন্নতার জন্য দর্জিবাড়িতে একেক পোশাকের মজুরি হয়ে থাকে ভিন্ন ভিন্ন। লং কামিজ বানাতে খরচ পড়বে ৩৫০ থেকে ৮০০, সালোয়ারসহ ডাবল কামিজ ৭০০ থেকে ১৫০০, আনারকলি বানাতে খরচ পড়বে ৯০০ থেকে ১৭০০, ফ্রক কাটের সালোয়ার-কামিজে খরচ ৮০০ থেকে ১৪০০, সুতি কাপড়ের সালোয়ার-কামিজের খরচ ৪০০ থেকে ৯০০ এবং ব্লাউজ ডিজাইনভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা। তবে স্থান এবং ডিজাইনের ভিন্নতার জন্য খরচের পরিমাণ কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

ছেলেদের পাঞ্জাবি বানাতে খরচ পড়বে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা। পায়জামার জন্য দিতে হবে ৩৫০ থেকে ৫০০। শার্টে খরচ হবে ৫০০ থেকে ৮০০। প্যান্ট ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। কমপ্লিট স্যুট চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা। আর শুধু স্যুট বানাতে মজুরি লাগবে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মতো।

রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া মার্কেটে রয়েছে মেয়েদের বেশিরভাগ টেইলারিং শপ। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি, গুলশান, পিংক সিটি, ইউনিকর্ন প্লাজা, মিরপুর শাহ আলী, উত্তরা প্রভৃতি স্থানে মেয়েদের দর্জিঘর রয়েছে। ইচ্ছা করলে বাড়ির কাছের লেডিস টেইলার্স থেকেও বানিয়ে নিতে পারেন পছন্দসই পোশাকটি। ছেলেদের জন্য বেলমন্ট, স্টার টেইলার্স, ফ্রেন্ডস টেইলার্স, সিটি এলিগেন্স, দ্য রেমন্ড শপ, আইকন টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিক, সানমুন, টপটেন, ফেরদৌস, ডায়মন্ড প্রভৃতি টেইলার্স থেকে বানিয়ে নিতে পারেন আপনার চাহিদামতো ঈদ পোশাকটি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুন ২০১৭/সাগর/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়