গোপালগঞ্জে গরুর দাম চড়া
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ১৬টি পশুর হাট। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গত বছরে চেয়ে পশুর দাম বেশি, আর বিক্রেতাদের দাবি দাম কম।
ঈদকে সামনে রেখে জেলায় ১৮ হাজার গরু ও ৪ হাজার ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে। কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে ভারতীয় গরু বেশি নেই। ক্রেতাদের কাছে দেশি গরুর চাহিদা বেশি। হাটে সবোর্চ্চ ৩ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গরুর দাম উঠেছে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে।
এ বছর গরুর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তবে শেষ মুহূর্তে গরুর দাম কমবে এমন অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে। দাম বেশি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতারা জানান, দেশি গরু হলেও দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর লাভের আশা করছেন বিক্রেতারা।
জেলা পশুসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে গরু মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন ট্রাকে করে এসব গরু বিক্রির জন্য নেওয়া হচ্ছে দেশের বড় বড় হাটে। এ বছর পশু খাদ্যের দাম বেশি থাকায় গরু পালনে খরচ পড়েছে বেশি। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সহায়তা দিতে ১৬টি পশুর হাটের জন্য আটটি ভ্যাটেনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
ক্রেতা মো. মিজানুর রহমান শেখ জানান, কয়েকটি হাট ঘুরে দেখেছেন। হাটে ভারতীয় গরু তেমন আসেনি। তবে প্রচুর দেশি গরু রয়েছে। এ বছর গরুর দাম বেশি। তারপরও কোরবানির জন্য গরু কিনবেন।
গরু ব্যবসায়ী একরাম শেখ, মিলন গাজী, সবুর গাজী জানান, দেশি গরুর চাহিদা বেশি। ঘাস, খড় খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছেন। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে খরচ উঠবে না। শেষ মুহূর্তে ভারতীয় গরু না আসলে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
গরুর হাট ইজারাদার শামীম খান শাহনেওয়াজ জানান, হাটে জাল টাকা ছড়ানোসহ অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে জাল টাকা সনাক্তকরণ বুথ খোলা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সব সময় দেখভাল করছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতাউর রহমান চৌধুরী জানান, এ বছর জেলার ১৬টি পশুর হাটের জন্য আটটি ভ্যাটেনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। হাটে বিক্রির জন্য গরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে টিমগুলো। যাতে রুগ্ন ও রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি না হয়। কোনো পশুর মাংসে বিষাক্ত দ্রব্য পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/২৯ আগস্ট ২০১৭/বাদল সাহা/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন