ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আমরণ অনশনে প্রাইমারির সহকারী শিক্ষকরা

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আমরণ অনশনে প্রাইমারির সহকারী শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় বেতন স্কেলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পরের গ্রেডে বেতনের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

শনিবার সকালে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের’ উদ্যাগে এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এতে মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন। বেতন বৈষম্য নিরসনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষক অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

জোটের নেতারা দাবি আদায়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিরে যাব না। শিক্ষকরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

অনশনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ।

সহকারী শিক্ষক ফ্রন্টের সভাপতি খালেদা আক্তার বলেন, ‘আমরা বৈষম্যের শিকার। আমরা সংবাদ সম্মেলনে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা পূরণ করা হয়নি। দাবি পূরণ করা ছাড়া আমরা শহীদ মিনার ছেড়ে যাব না।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা মর্যাদা নিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। আপনার একটা আশ্বাসই পারে আমাদের সব সমস্যা সমাধান করতে।’

অনশন কর্মসূচীতে সহকারী শিক্ষক সমাজ, সহকারী শিক্ষক সমিতি, সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন, সহকারী শিক্ষক সমাজ-২, সরকারি সহকারী শিক্ষক সমিতি, সহকারী শিক্ষক সমাজ-৩, সহকারী শিক্ষক সমিতি-২, সহকারী শিক্ষক ফোরাম, সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক সমিতির চারটি সংগঠন এই কর্মসূচিতে ঐক্য প্রকাশ করেছে।

অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণে এর আগে উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় পর্যায়ে উপ পরিচালকদের (প্রাথমিক শিক্ষা) কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাবি আদায়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু দাবি পূরণে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ডিসেম্বর ২০১৭/ইয়ামিন/ইভা 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়