ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

উপোস বয়সের ছাপ ধীরগতি করে!

আফরিনা ফেরদৌস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৫ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উপোস বয়সের ছাপ ধীরগতি করে!

প্রতীকী ছবি

আফরিনা ফেরদৌস : উপোস বা উপবাস বয়স বৃদ্ধির  চেহারা থেকে বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। বিতর্কিত এই বিষয়টি একটি গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়ে উপবাস চেহারাতে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে।

ডাক্তার রোজালিন অ্যান্ডারসন, কো-এডিটর অব জিরন্টোলজি জার্নাল, বলেছেন যে, বলিরেখা কোনো অনিবার্য ব্যাপার নয় কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এই আশ্চর্যকর বিষয়টি সম্পর্কে অসচেতন। এক গবেষণার ফলাফলে তিনি বলেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের বয়স বৃদ্ধি ০.৬ বছর ধীর গতির হবে যদি তারা দৈনিক ২৫ শতাংশ ক্যালরি কম গ্রহণ করেন।

সেই হিসাবে একজন পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের ২৪ ঘণ্টায় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ হবে ১৮৭৫ এবং মহিলার ক্ষেত্রে তা হতে হবে ১৫০০ ক্যালরি। এই যুগান্তকারী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে দ্য জার্নাল অব জিরন্টোলজিতে, বায়োলজিক্যাল সাইন্স এবং মেডিকেল সাইন্স নামের একটি সিরিজে যেটির সম্পাদনা করেন ডাক্তার অ্যান্ডারসন।

তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্যালরির সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। এটি আসলেই একটি কার্যকরী উপায়। ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমানোর জন্য যে সব ওষুধ বা অ্যান্টি এজিং পদ্ধতি আছে তার তুলনার এই ক্যালরি সীমাবদ্ধতাকরণকে অন্যতম বা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়।

ডাক্তার অ্যান্ডারসন তার গবেষণায় সীমিত খাদ্য গ্রহণ এবং ফলাফল হিসেবে মূলত বায়োলজি অব এজিং এর ওপর গুরুত্ব  দিয়েছেন।

মানুষ এবং ইঁদুরের ওপর করা এই গবেষণার মূল বিষয় ছিল দিনভর উপোস থাকার ফলাফল সম্পর্কে জানা। ইউনিভার্সিটি অব উইন্সকন্সিন-ম্যাডিসনে দ্য মেটাবোলিজম অব এজিং রিসার্চ প্রোগাম নামক এই গবেষণাটির সম্পাদনা করেন ডাক্তার অ্যান্ডারসন। তার মতে, ‘এই গবেষণা মূলত আমাদেরকে এটি বুঝতে সাহায্য করে যে, আমরা যা খাই তা আমাদের ত্বককে কিভাবে এবং কতখানি প্রভাবিত করে এবং বর্তমানে তা প্রমাণিত।’

ক্যালরি কমিয়ে ফেলার যে দীর্ঘায়ু প্রভাব থাকতে পারে তা প্রথম বিজ্ঞানীরা বলেন প্রায় ৮০ বছর আগে। প্রযুক্তির অগ্রগতি বিজ্ঞানীদেরকে আবারো এই ধরণের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করেছে এবং তা প্রমাণ করতে সহায়তা করেছে।

একদল বিজ্ঞানীরা এই কয়েক বছরে ডায়েটের ওপর খুব সচেতন হতে বলছেন যার মূল কারণ মেটাবোলিজম কমানো। ঠিক তার অপর দিকে আরেক দল বিজ্ঞানী বলছেন, ডায়েট করার ফলে মানুষ অবসাদ, পুষ্টির অভাব, এমনকি প্রজনন সমস্যা হতে পারে।

তবে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বারংবার প্রমাণ করা হয়েছে যে, কম পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

ডাক্তার অ্যান্ডারসনের এই গবেষণাতে আরো বলা হয়, মধ্য বয়স্ক মানুষ যদি উপোস থাকে, তাহলে তাদের দীর্ঘ দিন বাঁচার সম্ভাবনা বেশি। এবং তারা অন্যদের তুলনার বেশি স্বাস্থ্যবান। গবেষণার মাধ্যমে দেখানো হয় যে, কম ক্যালরি গ্রহণ করলে শরীর বেশি করে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। বেশি ক্যালরি গ্রহণ বরং বেশি করে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়