ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আগুন ঝরা ফাগুনের সাজ

আফরিনা ফেরদৌস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আগুন ঝরা ফাগুনের সাজ

ছবি : রঙ বাংলাদেশ

আফরিনা ফেরদৌস : বাংলা সংস্কৃতিতে পয়লা ফাল্গুন বা বসন্তবরণ উদযাপন কোনো নতুন পার্বণ নয়। ঋতু বৈচিত্র্যের হাত ধরে পালিত হওয়া এই পার্বণটি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কোকিলের ডাকে হলুদ জমিনে লাল পাড়ের শাড়ি আর পলাশ ফুলে বাঁধা খোপা বসন্তের আগমন জানিয়ে দেয়।

বসন্তকে যেমন আমাদের প্রকৃতি বরণ করে নেয় নানা রূপে তেমনি আমরাও বরণ করি পোশাক এবং সাজের মাধ্যমে। আর এই বসন্তবরণ পার্বণে একটি বিশেষ মাত্রাও যোগ করে আমাদের পোশাক।

পয়লা ফাল্গুন অর্থাৎ বসন্তবরণে ছেলে মেয়ে প্রায় সবার পোশাকে রঙটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমন এই দিনে বাসন্তি রঙের পোশাক সবচেয়ে বেশি পরিধান করা হয়। ছেলেরা সাধারণত পাঞ্জাবি পরিধান করে। তবে আজকাল পাঞ্জাবির পাশাপাশি টি-শার্ট, ফতুয়া পরতে দেখা যায় এবং সেক্ষেত্রেও রঙটা প্রাধান্য পায়। এখন যেহেতু দিনের বেলাটাতে বেশ গরম তাই হালকা রঙের সুতি পাঞ্জাবি পরিধান করা শ্রেয়।

মোটামুটি দেশের প্রায় সব পোশাকের দোকানে এখন বসন্তবরণের পোশাকে ঢাকা। তবে সেখানে বাসন্তী রঙের পাশাপাশি রয়েছে হলুদ, কমলা এবং লাল রঙের পোশাক।

ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাকের ধরন বেশি। তাই এই দিনগুলোতে মেয়েদেরকে নিজেদের পোশাক নির্বাচন নিয়ে বেশ ভাবতে হয়। বাঙালিয়ানার সঙ্গে শাড়ি ব্যাপারটি জড়িয়ে আছে ভীষণ ভাবে। বসন্তবরণেও তার ব্যতিক্রম হয় না।

তবে যদি ঠিকই করে থাকেন যে শাড়িই পরবেন তাহলে অবশ্যই সুতি শাড়ি পরার চিন্তা করুন। তাহলে এই ভ্যাপসা গরমে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে অস্বস্তি হবে না। আর যারা শাড়ি সামলাতে পারেন না তাদের জন্য রয়েছে সালোয়ার কামিজ। এছাড়া টপস, স্কার্টস, কুর্তিও পরতে পারেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি সেটাই পরুন যেটাতে আপনি সারাদিন স্বস্তির সঙ্গে কাটাতে পারবেন।

সাজগোজের ক্ষেত্রেও ভারী অলংকার এড়িয়ে চলুন। খোপায় পলাশ অথবা নিজের পছন্দমতো কোনো ফুল দিতে পারেন আর মেকআপ করবেন একেবারেই লাইট। কারণ দিনের বেলা ভারী মেকআপটা ঠিক মানানসই লাগে না।

অলংকারের তালিকায় রাখতে পারেন মাটির অথবা কাঠের বা মোমের জুয়েলারি। এখন অবশ্য আদিবাসী গহনা এবং আফগানী জুয়েলারির বেশ চলছে, তাই আপনি চাইলে এই গহনাগুলো রাখতে পারেন আপনার তালিকায়। তবে সবচেয়ে উপযুক্ত অলংকার হবে ফুলের তৈরি অলংকার।

তাজা ফুল দিয়ে তৈরি গলার মালা থেকে শুরু করে হাতের বালা পর্যন্ত। সুবাসের সঙ্গে সঙ্গে মনটাও সতেজ থাকবে সারাদিন। আর সেটা আপনার সাজে আনবে ভিন্ন মাত্রা।

পোশাক এবং সাজে ভিন্ন মাত্রা আনতে দেশিয় ফ্যাশন হাউজগুলো নকশা এবং রঙের মিল রেখে ম্যাচিং পোশাক তৈরি করে থাকে। আপনি এবং আপনার কাছের মানুষ পরিধান করতে পারেন এমন ম্যাচিং পোশাক। শুধু তাই নয় মা, বাবা এবং বাচ্চাদের জন্যও পাওয়া যায় এমন পোশাকগুলো।

তবে সারাদিন ঘোরাঘুরির মাঝ দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না। কারণ এখন কিন্তু বেশ গরম পড়ছে দিনের বেলাটাতে। আর যথাসম্ভব তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

পড়ুন : *



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়