ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অতিরিক্ত গরমে ঘুমানোর ২০ উপায়

মাহমুদুল হাসান আসিফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৬ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অতিরিক্ত গরমে ঘুমানোর ২০ উপায়

প্রতীকী ছবি

মাহমুদুল হাসান আসিফ : অতিরিক্ত শীত বা অতিরিক্ত গরম কোনোটিই আমাদের শরীরের জন্য আরামদায়ক নয়। এই দুইটি অবস্থাতে ঘুমানো খুবই অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার। শীতের চেয়ে গরম আরো বেশি অস্বস্তিকর কারণ নিজেকে গরম করার চেয়ে ঠান্ডা করা অনেক বেশি কঠিন। গরমের সময় রাতে ঘুমানো খুবই কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে কেননা সারাদিনের গরমে মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হয়ে থাকে এবং গরম আবহাওয়ার প্রভাব ঘুমের ওপরে গিয়ে পড়ে।

অনেকেই মেঝেতে একটি চাদর বা মাদুর পেতে শুয়ে পড়েন। কিন্তু মাঝে মাঝে তাতেও কাজ হয় না। ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা হল ১৬ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। কেননা সারাদিনের নানারকম চাপ শেষে শরীরের বাকি অংশের তুলনায় মস্তিষ্কের সামান্য বেশি ঠাণ্ডা হওয়ার দরকার পড়ে।

রাতে ভালোমতো ঘুম হওয়া শরীরের জন্য অতীব প্রয়োজন। কেননা শারীরিক এবং মানসিক সুস্থ থাকতে ভালো ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্কের চাপ বেড়ে যায় এবং এর ফলে মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আসলে আমাদের বাড়িগুলো অতিরিক্ত গরম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম নয়। অতিরিক্ত গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে আরামে ঘুমানোর ২০টি উপায় নিয়ে এ প্রতিবেদন।

* আপনার বিছানার বেডিং অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজে বেডিং রাখার মতো যথেষ্ট জায়গা না থাকলে বালিশগুলো অন্তত ফ্রিজে রাখুন।

* হট ওয়াটার ব্যাগে ঠাণ্ডা পানি ভর্তি করে আপনার শরীরের শীতলকরণ অংশ যেমন: হাঁটু, গোড়ালি, কবজি, ঘাড়, কুঁচকি এবং কনুইয়ে ভালমতো লাগান। এতে একটু হলেও আরাম পাবেন। আপনি ঠান্ডা পানি ভর্তি হট ওয়াটার ব্যাগ বিছানায় সঙ্গে করে নিয়েও ঘুমাতে পারেন।

* ফ্রিজে রাখা অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ ক্রিম ঘুমানোর আগে শরীরে লাগান। এতে অতিরিক্ত গরমে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে।

* খালি হয়ে যাওয়া পারফিউমের বোতলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ভরুন এবং আপনার বিছানায় সেটা রেখে দিন। মাঝে মাঝে সেই বোতল থেকে আপনার চেহারায়, ঘাড়ে এবং হাঁটুর পেছনের ভাঁজে পানি স্প্রে করুন। আরাম পাবেন।

* সুতি কাপড়ের পাতলা পায়জামা পরিধান করুন ঘুমানোর সময়। আপনার বিছানার চাদর, বেডিং, বালিশের কভার সুতি কাপরের তৈরি হলে ভালো হয়।

* গরমের দিনে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাবেন না। কেননা প্রোটিন হজম হতে গেলে শরীরে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় যার ফলে গরম লাগাটাই স্বাভাবিক।

* মশলাযুক্ত খাবার খেলেও তা ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে খান। এতে করে প্রচুর ঘাম বের হয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। ফলে আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।

* শরীরচর্চার কাজটা সকালে করুন, বিকালে বা সন্ধ্যায় নয়। কেননা বিকালে বা সন্ধ্যায় শরীরচর্চার ফলে শরীর খুব উত্তপ্ত হয়।

* শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সন্ধ্যায় গোসল করুন। বরফশীতল পানিতে গোসল করবেন না। কেননা হুট করে অতিরিক্ত ঠান্ডা আপনার শরীর নিতে পারবে না এবং আপনার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।

* দিনের বেলায় শোবার ঘরের সব জানালা বন্ধ রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালায় পর্দা থাকলে তা নামিয়ে রাখুন।

* শোবার ঘরে থাকা সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা উত্তাপ তৈরি করে তা বন্ধ রাখুন।

* আপনার পায়ের তলা ঠান্ডা রাখুন। খালি পায়ে থাকার চেষ্টা করুন অথবা পায়ের তলায় বরফ লাগান।

* বড় একটা পাত্রে বরফ রেখে তা ফ্যানের সামনে রেখে দিন। এতে ফ্যানের বাতাস ঠান্ডা হবে।

* গরমের সময় দিনে প্রচুর পানি পান করুন। তবে রাতে বেশি পানি খাবেন না। রাতে ঘুমানোর আগে আধা গ্লাস পানি আপনার সারারাতের পানির চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট। রাতে বেশি পান করলে তা প্রস্রাবের চাপ সৃষ্টি করে বেশ কয়েকবার ঘুম নষ্ট করবে।

* একা একটি বিছানায় ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এক বিছানায় দুইজন বা তার বেশি থাকলে বেশি তাপ উৎপন্ন হয় ফলে গরম লাগে।

* বেশি গরম অনুভব করলে মেঝেতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

* পানিতে ভেজানো মোজা বা ডাম্প টি-শার্ট পরে ঘুমানো বেশ আরামদায়ক হতে পারে।

* ঘুমানোর আগে আপনার হাত এবং পায়ের তালু ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। আরাম পাবেন।

* রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায় তাহলে মেনথলের কোনো ক্রিম বা লোশন আপনার কপালে ঘষে নিন। এতে করে আপনি ঠান্ডা অনুভব করবেন।

* মাঝারি সাইজের এক টুকরা ভেজা ফ্লানেল কাপড় অন্তত এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। ঘুমানোর সময় তা আপনার কপালে জড়িয়ে ঘুমান।

তথ্যসূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুন ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়