ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কোরবানি ঈদের দেড় মাস আগেই বাড়ছে মশলার দাম

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোরবানি ঈদের দেড় মাস আগেই বাড়ছে মশলার দাম

নাসির উদ্দিন চৌধুৃরী : কোরবানির ঈদ আসতে এখনো দেড় মাস বাকি। কিন্তু পাইকারী ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে মশলার দাম বাড়াতে শুরু করেছেন। কিছু দিনের মধ্যে এর প্রভাব পড়বে খুচরা বাজারেও।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন বাজারে মশলার চাহিদা কম থাকলেও সামনে ঈদুল আজহার সময় চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। কারণ বাংলাদেশে ক্রেতাবান্ধব বাজার পরিস্থিতি নিশ্চিত নয় এখনো।

তারা বলছেন, এখন থেকেই বাজার তদারকি না করলে ঈদের আগ মুহূর্তে অন্যান্য বারের মতো মশলার বাজার লাগামহীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট।

এদিকে পাইকারী মশলা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার জন্য দুষছেন আমদানিকারকদের। তারা বলেন, আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে মশলা কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দিন দিন মশলার দাম বাড়ছে।

রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের পর সব ধরনের মশলার দাম বেড়েছে। ঈদের আগে কেজি প্রতি (মান ভেদে) এলাচের দাম ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে কেজি প্রতি তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা।

ঈদের আগে দারুচিনির দাম ছিল কেজি ২৬৮ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা। প্রতি কেজি জয়ফল বিক্রি হয়েছিল ৫৫০ টাকা, বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ভারত থেকে আমদানি করা জিরার কেজি ছিল ২৮৩ থেকে ২৯৭ টাকা। বর্তমানে এর কেজি ৩৩৫ টাকা। সিরিয়া থেকে আমদানি করা জিরার কেজি ছিল ৩৯০ টাকা, বর্তমানে কেজি ৪৫০ টাকা ও চীন থেকে আমদানি করা জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ টাকা। আর ১১০ টাকা কেজির মিষ্টি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

এ ছাড়া বর্তমানে কেজি প্রতি লবঙ্গ মান ভেদে ১ হাজার থেকে ১ হাজার দুইশত টাকা, গোলমরিচ (কালো) ৯৫০, গোলমরিচ (সাদা) ১ হাজার দুইশত,  জয়ত্রী ২ হাজার একশত, ধনিয়া ১০০ থেকে ১২০, ভারতীয় হলুদ ২১৫, ভারতীয় মরিচ ১৫০, দেশি শুকনা মরিচ ১৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরার পাইকারী মশলা ব্যবসায়ী ও কোয়ালিটি স্টোরের ম্যানেজার নয়ন বলেন, কোরবানির ঈদ আসতে আরো দেড় মাস বাকি, আর এখন মশলার চাহিদা না থাকলেও আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মশলার। আর সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ছে চাহিদাসম্পন্ন মশলার। তবে নতুন করে আমদানি করা মশলা বাজারে এলে দাম কমতেও পারে।

মশলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েত উল্লাহ বলেন, স্বাভাবিকভাবে বন্দরের পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য ছাড় করতে সময় লাগছে। এর মধ্যে যোগ হয়েছে ঢাকা থেকে আমদানিকারকদের অনুমতিপত্র জোগাড়ের বিষয়টি। এতে আমদানি খরচ বাড়ছে। যা সরাসরি পণ্যের দামের ওপর গিয়ে পড়ছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জুলাই ২০১৮/নাসির/হাসান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়