ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

জয় ছিনিয়ে আনা সিভি লিখতে হলে

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জয় ছিনিয়ে আনা সিভি লিখতে হলে

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : নিয়োগদাতার সঙ্গে আপনাকে প্রথমবারের মতো পরিচয় করিয়ে দেয় সিভি অর্থাৎ কারিকুলাম ভিটা। কর্তৃপক্ষ ওই জীবনবৃত্তান্তের ওপর ভরসা করেই আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার মূল্য নির্ধারণ করেন।

মনে রাখতে হবে, পারফেক্ট কারিকুলাম ভিটা বলতে আসলে কিছু নেই। কেউ বলতে পারবে না- ‘হ্যাঁ, এটাই পারফেক্ট সিভি।’ যথার্থ সিভিকে সংজ্ঞায়িত বা অর্জন করা যায় না। অন্যদিকে, জয় ছিনিয়ে আনা সিভি বলতে আমরা তাই বুঝি, যেটি দেখে নিয়োগদাতারা আপনার সম্পর্কে আরো জানতে আগ্রহী হন, এমনকি আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকেন।

জয় ছিনিয়ে আনা সিভি লিখতে হলে : নিয়োগদাতার জন্য আপনার জীবনবৃত্তান্তকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। একটি সুন্দর, আকর্ষণীয় সিভি চাকরির প্রতিযোগিতায় আপনার জয় ছিনিয়ে আনতে পারে। প্রত্যেকটি চাকরিই ভিন্ন, তেমনই ভিন্ন সব নিয়োগদাতাও। তাই নির্দিষ্ট চাকরি, কাজের ধরন, সর্বোপরি পদের সঙ্গে যে জীবনবৃত্তান্ত খাপ খেয়ে যায়, সেটিই জয় ছিনিয়ে আনা সিভি। তবে জীবনবৃত্তান্তটিকে অবশ্যই আকর্ষণীয়, স্পষ্ট ও ছোট হতে হবে। প্রথম দর্শনেই এটি যেন নিয়োগদাতার সুনজরে পড়ে, সে গুণ থাকতে হবে তাতে।

* আকর্ষণীয় সিভি লিখতে হলে : আদর্শ জীবনবৃত্তান্ত লেখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও আকর্ষণীয় একটি জীবনবৃত্তান্তই পারে নিয়োগদাতার কাছে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে। আর আইডিয়াটা হলো নিয়োগদাতার কাছে নিজের একটি পরিচয় তুলে ধরা। এক্ষেত্রে আবারো বলতে হয়, সবচেয়ে ভালো পথ- আপনার এতোদিনের কর্মক্ষেত্রে কী কী সাফল্য অর্জন করেছেন তা উল্লেখ করা। সাধারণত বিভিন্ন সিভিতে দক্ষতা উল্লেখ করার যে তালিকা দেখা যায়, সে রকমই হতে পারে। তবে সেসব দক্ষতার আলোকে আপনি কোন কোন সাফল্য পেয়েছেন সেগুলো উল্লেখ করতে হবে। নিয়োগদাতা যেন এসব ফল দেখে আপনাকে তার কোম্পানির জন্য যোগ্য ব্যক্তি ভাবতে পারেন, সেটা খেয়াল রাখুন।

স্পষ্ট, প্রাসঙ্গিক, যুক্তিপূর্ণ অর্জনগুলো লিখুন : ধরুন, আগের কোম্পানিতে উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আপনি, সেখানে আপনার অবদান কতটুকু সুফলদায়ক ছিল, তা উল্লেখ করুন। অথবা মুনাফা বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত চাকরিতে আপনি কোম্পানির জন্য কেমন মুনাফা এনে দিয়েছেন, তা জানান। খেয়াল রাখতে হবে অন্য একটি রঙহীন, নীরস, সাটামাটা জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে আপনার জীবনবৃত্তান্তটির যেন স্পষ্ট পার্থক্য থাকে। নিয়োগদাতাদের কাছে যোগ্য ব্যক্তি বেছে নেয়ার প্রাথমিক পথ যেহেতু প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত, তাই আপনার জীবনবৃত্তান্তটিকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষণীয় ও যুক্তিসঙ্গতভাবে তুলে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সিভির প্রতিটি শব্দই গুরুত্বপূর্ণ।

মনে রাখতে হবে:
যেকোনো পরিস্থিতিই হোক না কেন জীবনবৃত্তান্তে ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তিজনক তথ্য দেবেন না। এটা অনৈতিক, নিজেকে ধবংস করার মতো চরম বোকামি। এ ব্যাপারে ভাববেনই না। আস্থা রাখা যায় না এমন অতিরঞ্জিত তথ্য উল্লেখ করবেন না জীবনবৃত্তান্তে। যাচাই করা যায় এমন তথ্যই উল্লেখ করুন। নতুন অফিসে প্রমোশন নিয়ে বা নতুন পদে হয়তো নিয়োগ পেতে চাচ্ছেন আপনি। এক্ষেত্রে আপনার আগের অফিসের কাজের রেকর্ড সঠিকভাবে উপস্থাপন করুন। মনে রাখুন আপনি অন্যদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জীবনবৃত্তান্তে সঠিক, যথাযথ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুব জরুরি। সব সময় তাই সঠিক তথ্যই দিন।

পড়ুন :
*

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়