গ্রেনেড হামলা : রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলার প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান একাদশ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষের এ যুক্তিতর্ক রেকর্ড করেন। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর যুক্তিতর্কের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন

এদিন সৈয়দ রেজাউর রহমান ট্রাইব্যুনালে পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি উপস্থাপন করেন। জবানবন্দি অনুযায়ী আসামি মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে শামীম ওরফে রাশেদ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম (কুষ্টিয়া) সরাসরি গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে আসামি মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. আবু জাফর ২১ আগস্ট হামলার ঘটনার পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় এবং আসামি মাওলানা আবদুস সালাম ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর মামলাটিতে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়। মামলাটিতে বিভিন্ন সময়ে ২০ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।মামলাটিতে গত ১২ জুন জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি  হয়। আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলাটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।

মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।

অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ নভেম্বর ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক