ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়েই মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়েই মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি’

মো. সুলতান আলী সরকারের হাতে মার্সেলের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘গত ১৪ ডিসেম্বর অফিসের কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় ডিপ ফ্রিজ কেনার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে যাই। মার্কেটে যাওয়ার পর প্রথমেই চোখ যায় মার্সেলের শোরুমে। দেশীয় ব্র্যান্ড। আবার বিজয়ের মাস চলছে। সে কারণে শুধুমাত্র দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়েই সোজা সেখানে প্রবেশ করি। দেখে শুনে মাঝারি সাইজের একটি ডিপ ফ্রিজ পছন্দ হয়। ২৮ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজটি কিনি। এরপরেই ঘটে মজার ঘটনা। মার্সেলের কোটি টাকার অফারে পেয়ে যাই ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।’

কথাগুলো মো. সুলতান আলী সরকারের। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। তার বাসায় টিভি-ফ্রিজসহ সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যই আছে। শুধু একটি ডিপ ফ্রিজ প্রয়োজন ছিল। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের বেঙ্গল ইলেকট্রনিক্স থেকে মার্সেল ডিপ ফ্রিজ কিনে তিনি পেয়েছেন লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।

মো. সুলতান আলী সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার গ্রামের বাড়ি রংপুর সদর থানায়। ৫ ভাই এবং এক বোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়। বাবা-মা ভাই-বোন সবাই গ্রামের বাড়িতে থাকেন। চাকরির সুবাধে ১৫ বছর ধরে তিনি ঢাকাতে আছেন। স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর শান্তিনগরের চ্যামেলিবাগে থাকেন।

সুলতান আলী বলেন, ‘টিভি-ফ্রিজের মতো দামি দামি সব পণ্য আমাদের বাসায় আছে। যার বেশিরভাগই বিদেশি কোম্পানির। কিন্তু যখন জানতে পারি আমাদের দেশেই বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন ও মার্সেল। তখন ওই ধরনের পণ্যের আর দরকার হচ্ছিল না। তবে সম্প্রতি স্ত্রীর জানায় বাসায় একটি ডিপ ফ্রিজ লাগবে। তখন ভাবলাম এবার দেশীয় কোম্পানির ফ্রিজই কিনবো।’

তিনি বলেন, ‘মার্সেল পণ্য কিনলে লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে এ কথা টিভির বিজ্ঞাপনে দেখেছি। ভেবেছি সব বিজ্ঞাপন তো আর সত্য নয়। পণ্যের প্রচারের জন্য কোম্পানিগুলো রংচং মাখিয়ে পাবলিসিটি করে। কিন্তু মার্সেল যে সত্যি বিজ্ঞাপনই দিয়েছে, তার বাস্তব প্রমাণ আমার এই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার প্রাপ্তি।’

ক্যাশ ভাউচারের টাকা দিয়ে কি কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাসায় সবই আছে। তবে যেহেতু আমার ভাগ্যেই জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার লেগেছে। তাই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, রাইস কুকারসহ মোট ১৩টি পণ্য নিয়েছি। যার বেশিরভাগই গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা ও ভাই-বোনদের উপহার দেবো।’

মার্সেল পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি আগে কখনো মার্সেল পণ্য ব্যবহার করিনি। দুই একটা ওয়ালটনের ব্যবহার করেছি। যখন জানতে পেরেছি ওয়ালটন ও মার্সেল দেশীয় ব্র্যান্ড। তখন থেকে নতুন পণ্য কিনলে এই ব্র্যান্ডেরটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের পণ্যের দাম তুলনামূলক কম। কিন্তু মান অনেক ভালো। আমার পরিচিত অনেকেও মার্সেল পণ্য ব্যবহার করে ভালো বলছে।’

মার্সেল সূত্রে জানা গেছে, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে দেশীয় এই ব্র্যান্ডটি। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। মার্সেল শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ডিসেম্বর ২০১৭/অগাস্টিন সুজন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়