ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘বন্ধুর পরামর্শে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকা পেলাম’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বন্ধুর পরামর্শে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকা পেলাম’

মার্সেলের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে লোকমান শেখ

জাকির হুসাইন : ‘বাড়িতে ফ্রিজ দরকার। কিন্তু কোন কোম্পানির ফ্রিজ কেনা ভালো হবে, তা বুঝতে পারছিলাম না। পরে আমার এক বন্ধুকে ফোন করি। সে আমাকে চোখ বুজে ওয়ালটন বা মার্সেলের ফ্রিজ কেনার পরামর্শ দেয়। তার পরামর্শে মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি। তাতেই আমার কপালে ১ লাখ টাকার পুরস্কার জুটেছে, যা আমার ধারণারও বাইরে ছিল।’

কথাগুলো খুলনার শাহপুরের বাসিন্দা মো. লোকমান শেখের। গত ২১ ডিসেম্বর শিরোমনির নূর ইলেকট্রনিকস থেকে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন তিনি। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার পর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে এ কথা বলেন লোকমান শেখ।

তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ফ্রিজ কিনব ভাবছি। আমাদের এলাকায় অনেকের বাসায় বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজ ব্যবহার হয়। তার মধ্যে বেশির ভাগই ওয়ালটনের। তাদের কাছে ফ্রিজের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়ালটনের ফ্রিজের কথা সবাই ভালো বলে। মার্সেল ফ্রিজ ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই কম। তবে ওয়ালটন ও মার্সেল ফ্রিজের মান একই বলে আমার বন্ধুটি জানায়। তা ছাড়া কোম্পানি দুটি আমাদের দেশের। তার পরামর্শ- এই দুটি কোম্পানির ফ্রিজ কিনলে অনেক দিন নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। দামও নাকি অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে কম। তা ছাড়া বর্তমানে কোম্পানির একটি অফার চলছে। ওই অফারে কপাল ভালো থাকলে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়া যাবে।’

লোকমান শেখ বলেন, ‘বন্ধুর কথা বিশ্বাস করেই দেশীয় কোম্পানির ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিই। তবে তার কাছে জানতে চাই দুটির মধ্যে কোনটি নেব। তখন আমার সেই বন্ধু জানায় দুটি কোম্পানির ফ্রিজই ভালো। তবে মার্সেল শোরুমের মালিক তার আর এক বন্ধু হওয়ায় সেখান থেকে ফ্রিজ কেনার পরামর্শ দেয়। এরপর আর দেরি করিনি। তখনই মার্সেল ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিই। শিরোমনিতে মার্সেলের শোরুম নূর ইলেকট্রনিকস থেকে ১৯ হাজার টাকা দিয়ে ১০ সিএফটির একটি ফ্রিজ কিনি।’

লোকমান জানান, ফ্রিজ কেনার পর তার মোবাইল নম্বর নিয়ে শোরুমের বিক্রয়কর্মীরা রেজিস্ট্রেশন করে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইলে ক্যাশ ভাউচার প্রাপ্তির একটি এসএমএস আসে। যেটা দেখে তার মনে হয় ১০ হাজার টাকার মেসেজ। এতেই দারুণ খুশি হয়ে ওঠেন লোকমান। কিন্তু শোরুমের বিক্রয়কর্মীরা মেসেজটি দেখে জানান ১০ হাজার নয়, লোকমান পেয়েছেন ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। খবরটি শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন তিনি।

লোকমান শেখ বলেন, ‘তখন শোরুমের মালিক মো. নূর আলমও উপস্থিত ছিলেন। ১ লাখ টাকার কথা শুনে তিনিও অবাক হন। এমনিতেই ১০ হাজার টাকা ভেবে আমি মহাখুশি ছিলাম। এর পর যখন দেখলাম লাখ টাকা, তখন খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই। বন্ধুর পরামর্শে মাত্র ১৯ হাজার টাকায় ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’

এদিকে মার্সেল শোরুম নূর ইলেক্ট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী মো. নূর আলম বলেন, ‘আমি মার্সেল শোরুম দিয়েছি খুব বেশি দিন হয়নি। নতুন শোরুমে ১ লাখ টাকার পুরস্কার পাওয়ায় মার্সেল কোম্পানির পাশাপাশি আমার শোরুমের প্রচার-প্রচারণা কয়েক গুণ বেড়েছে। আমাদের একজন ক্রেতা ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউার পাওয়ার পর থেকে বর্তমানে বিক্রিও অনেক বেড়েছে।’

মো. নূর আলম জানান, ওই দিনই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার প্রাপ্ত লোকমান শেখকে তার পছন্দের পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ টাকার মধ্যে তিনি নতুন করে আরো দুটি ফ্রিজ, দুটি টিভি, ওভেন, রাইস কুকারসহ মোট ১০টি পণ্য নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে মার্সেল। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। মার্সেল প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ ডিসেম্বর ২০১৭/অগাস্টিন সুজন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়