ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্টে সাইবার অপরাধী ও জঙ্গিরা জড়িত

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১০, ৩ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্টে সাইবার অপরাধী ও জঙ্গিরা জড়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হওয়ার পেছনে সাইবার অপরাধী ও জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধী, জঙ্গি ও জঙ্গি সমর্থনকারীদের কারণেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হচ্ছে। এজন্য সাইবার অপরাধ ও জঙ্গিগোষ্ঠী থেকে গণমাধ্যমকে রক্ষা করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

দেশের বিশাল প্রসারমান গণমাধ্যমের প্রসারতা ও এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ মানেই গণমাধ্যমের মুক্তচিন্তার সংকোচন নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রিন্ট পত্রিকার পরে দেশে অনেক টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও, অনলাইন পত্রিকা চালু হয়েছে। এসব গণমাধ্যমকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ খুব দরকার। আর এজন্য এমন কোনো সম্প্রচার নীতিমালা করা হবে না যা মুক্তচিন্তাকে বাধাগ্রস্ত করে।

গণমাধ্যম বা সাংবাদিকরা নয় বরং তথ্য বিকৃতকারীরা, উস্কানিদাতারা, ভুয়া সংবাদ উপস্থাপনকারীরা, চক্রান্তকারীরাই চাপে ও ভয়ের মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, এসব ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে সরকার গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এখন পর্যন্ত যেসব পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে তার কোনোটিই সরকারবিরোধিতার কারণে নয়, বরং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারণে বন্ধ করা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে সেগুলো কেন, কী কারণে বন্ধ হলো তার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে দেব আমরা। এখন পর্যন্ত যতগুলো পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে তারা সর্বোচ্চ তথ্যপ্রযুক্তি আইন অমান্য করেছে, ভুয়া ও উস্কানিমূলক খবর প্রকাশ করেছে। আর এসব অনিয়ম দমনের জন্য যদি সরকার দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় তাহলে সেটা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। কোনো সম্পাদক যদি অনিয়ম করে, মিথ্যাচার করে, চরিত্র হনন করে তাহলে দণ্ডবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, কারাগারে পাঠানো হয়। এর মানে সম্পাদকদের দমন নয়, গণমাধ্যম দমন নয়। তারপরও আমাদের যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, কোনো সংশোধনের প্রয়োজন দরকার বলে মনে করেন তাহলে আমাদের বলবেন, আমরা সংশোধণ করে নেব।

মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের সিকিউরিটি, মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা দিতেই এর প্রতাষ্ঠিনিকীকরণ ও সম্প্রচার নীতিমালা দরকার। মুক্তচিন্তার অবাধ স্বাধীনতা রেখেই সাইবার অপরাধ আইন, সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করব। যা তৈরি করতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই করা হবে, এক তরফা কোনো আইন তৈরি করা হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশে ২৮০০ পত্রিকা রয়েছে। এসব পত্রিকায় হাজার হাজার সাংবাদিক কাজ করেন। তাদের তো দমন করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে কীভাবে আরো ফেয়ার করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত যখন যেখানে দ্বায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের ওপর নির্যাতন হয়েছে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি নিজে খোঁজ-খবর নিয়ে কাজ করি। রাষ্ট্র নিজেই সবসময় নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে সাংবাদিকের ওপর কোনো অন্যায় আচরণ হচ্ছে কিনা। অন্যায় হলেই সঙ্গে সঙ্গে তা সংশোধন করে নেওয়া হয়।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকালের সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ মে ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়