ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

৫৭ ধারা বাতিলে স্মারকলিপি দেবে সাংবাদিকরা

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ১১ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৫৭ ধারা বাতিলে স্মারকলিপি দেবে সাংবাদিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলে আইন, তথ্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথক স্মারকলিপি দেবে সাংবাদিক সংগঠনগুলো।

এ ছাড়া, ৫৭ ধারার আদলে ডিজিটাল সিটিউরিটি অ্যাক্টে যে ১৯ ও ২০ ধারা রাখা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে সংগঠনের গোলটেবিল মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা। এর আগে সংগঠনটি কার্যালয়ের সামনে সকালে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করার কথা ছিল। তবে অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি।

সমাবেশে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এবং ডিআরইউয়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শাখাওয়াত হোসেন বাদশা কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, স্মারকলিপি দেওয়ার পরও যদি ৫৭ ধারা বাতিল না হয় এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের খসড়ায় ৫৭ ধারার আদলে যে ১৯ ও ২০ ধারা করা হচ্ছে তা যদি বহাল থাকে তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। ওই আন্দোলন থেকে সাংবাদিকদের কল্যাণবিরোধী এসব আইনের ধারা বাতিল করতে বাধ্য করা হবে।

ফটো সাংবাদিক আশিকের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল বুধবার তার (আশিক) জামিন না হলে সাংবাদিকরা রাজপথে আন্দোলন করবে। আমরা তার জামিন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কোনো ভিন্নমত বা রাজনৈতিক মত নেই বলে দাবি করেন শাখাওয়াত হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। অধিকার আদায়ে কেউ পিছিয়ে  থাকবনা। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ ভিন্ন চিন্তার হতে পারে কিন্তু আমরা ৫৭ ধারা বাতিলে ঐক্যবদ্ধ।’

সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের প্রধান হাতিয়ার ৫৭ ধারা উল্লেখ করে সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেন, সংসদে ঘোষণা দিয়ে ৫৭ ধারা এই মুহুর্তে বাতিল করা হোক। এমনকি দেশে যেন কারো নামে আর ৫৭ ধারায় মামলা না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘আমরা মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। কিন্তু ৫৭ ধারা দিয়ে সেই স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ১৯ ও ২০ ধারাতে ৫৭ ধরার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। আমরা চাই এটিও বাতিল ঘোষণা করা হোক।’

ডিইউজের সভাপতি শাবান মাহমুদ বলেন, ৫৭ ধারা বাতিলসহ দেশে বর্তমানে যেসব সাংবাদিকের নামে ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা হোক। না হলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাব।

সাংবাদিকরা সত্যের পক্ষে আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় লিখে যাবে উল্লেখ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে আমরা লিখবই। দেখি কতজন সাংবাদিকের নামে আপনারা মামলা দেন। আমরা প্রস্তুত।

ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানির সঞ্চালনায় সমাবেশে ৫৭ ধারায় আক্রান্ত সাংবাদিকরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএফইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিয় ঘটক পুলক, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিআরইউয়ের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিলানী মিল্টন, অর্থ সম্পাদক মানিক মুনতাসির, দপ্তর সম্পাদক নয়ন মুরাদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রিয়াত প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুলাই ২০১৭/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়