সৎ মেয়েকে ধর্ষণ: বাবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদন : সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলার আসামি আরমান হোসেন সুমন (৩৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দুই দফা রিমান্ড শেষে বুধবার আরমান হোসেন সুমনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।

আরমান হোসেন সুমন স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম আহসান হাবীব জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত ১৩ ও ১৬ জুলাই দুই দফায় এ আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১১ জুলাই রাতে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমান হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে বুধবার রাতে আরমান হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরমান হোসেন সুমন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে আরমান হোসেন সুমনকে বিয়ে করেন তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন বাদী। চাকরির কারণে বাদীর মা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। ২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সে সময় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ মেয়েকে প্রথম ধর্ষণ করেন আরমান হোসেন সুমন।

এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইলে তুলে রাখেন আরমান হোসেন সুমন। এরপর থেকে ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই বাদীকে ধর্ষণ করেন তিনি।

২০১৫ সালে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আরমান হোসেন সুমন তার গর্ভপাত ঘটান। এরপরও বাদীর ওপর চলে নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউ ইস্কাটনে খালার বাসায় চলে যান বাদী। এরপরও তাকে কুপ্রস্তাব পাঠাতেন আরমান হাসেন সুমন। রাজি না হলে একপর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ বাদীর বন্ধুর কাছে পাঠানো হয়। এ ছাড়া অত্যন্ত নোংরা ভাষায় ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠাতেন আরমান হোসেন সুমন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুলাই ২০১৭/মামুন খান/রফিক