ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

চালের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চালের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কৃষকদের স্বার্থে সরকারই চেয়েছিল চালের দাম বাড়ুক। তবে যে পরিমাণ বেড়েছে এটা অসহনীয়। আর এ কারণে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এটা সরকারের কাম্য নয়।

রোববার সচিবালয়ে তার দপ্তরে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ গ্রহণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চালের দাম বাড়ার কারণে দারিদ্র্যের হার কত শতাংশ বেড়েছে সেটা এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটা ঠিক, চালের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মনুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আগামীতে উৎপাদন বাড়লে চালের দাম কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গতকাল শনিবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম তাদের এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চালের দাম বৃদ্ধিতে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ। এ বছর চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় দারিদ্র্যের কবলে পড়েছেন দেশের ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ।

সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে, তা গত অর্থবছরের পুরো আমদানির প্রায় পাঁচগুণ। এক্ষেত্রে চাল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত চুক্তি করা দরকার বলে সুপারিশ করেছে তারা।

বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি বলেন, এগুলো তাৎক্ষণিক রিপোর্ট। এগুলো বিশ্বাস করা উচিত হবে না। গরিব লোক কমছে-বাড়ছে এটার জন্য অন্তত পক্ষে বছরখানেক দেখা দরকার। বছর শেষে কী হবে আমি জানি না।

তিনি বলেন, চালের দামের কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা চেয়েছিলাম চালের দাম কিছুটা বাড়ুক। তবে দামটা অনেক বেড়ে গেছে। আগে অনেক কম ছিল। সেটা ভালোই ছিল কিন্তু ৫০ টাকার উপরে উঠে যাওয়াতে কিছু লোকের খুব অসুবিধা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চালের দামে স্থিতিশীলতার বিষয়ে কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। উৎপাদন বাড়লেই চালের দাম কমে আসবে।

গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ পরিবর্তন করা হবে : গ্রামীণ ব্যাংকের চরিত্র বদলে গেছে, আগের চেয়ে এ প্রতিষ্ঠান এখন অনেক সুসংহত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, শিগগিরই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে।

রোববার সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন কুমার নাগ ২০১৬ সালের লভ্যাংশের ৬ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বাবুল সাহা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগির গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে। শিডিউল বানানো হয়ে গেছে। ড. ইউনূস ও তার সমর্থকদের করা বিভিন্ন মামলার কারণে নির্বাচন করতে দেরি হয়ে গেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গ্রাহকরা এখন গ্রুপভিত্তিক ঋণ নিয়ে অনেক মুনাফা করছেন। এটি বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনের বড় নির্দেশক। যেখানে অধিকাংশ মানুষ গরিব ছিল, এখন মাত্র ২৫ শতাংশ। ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসনাত/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়