ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বন্ধ ১৩ টেক্সটাইল মিল চালুর উদ্যোগ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বন্ধ ১৩ টেক্সটাইল মিল চালুর উদ্যোগ

কেএমএ হাসনাত : বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) বন্ধ ১৩টি মিল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে বিটিএমসির বন্ধ মিলগুলো চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলগুলো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনাশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ ১৩টি মিলের ভূমির পরিমাণ ৩৮০ দশমিক ৪৭ একর, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। মিলগুলো পিপিপির মাধ্যমে চালু করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মনে করছে, এসব মিল চালু করতে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ যোগ দেওয়া সম্ভব না হলেও পিপিপির মাধ্যমে মিলগুলো চালু করা সম্ভব।

সূত্র জানায়, বন্ধ থাকা মিলগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিল। এ মিল ১৮ দশমিক ৯৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ৬০০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রামের আমিন টেক্সটাইল মিল ২৩ দশমিক ৪৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার আনুমানিক মূল্য ৩১০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলটি ২৬ দশমিক ২৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

মাগুরা টেক্সটাইল মিলটি ১৬ দশমিক ১৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার আনুমানিক মূল্য ৩১০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ৬০০ কোটি টাকা।

যশোরের নওয়াপাড়া টেক্সটাইল মিলটি ১৫ দশমিক ৯২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ২৮ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ৬০০ কোটি টাকা।

রাজশাহী টেক্সটাইল মিলটি ২৬ দশমিক ৫৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ৭৩ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলটি ২৯ দশমিক ৪৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলটি ৩৫ দশমিক ৪৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ২ হাজার কোটি টাকা।

দিনাজপুরের জলিল টেক্সটাইল মিল ৬৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ৩৬৫ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ২ হাজার কোটি টাকা।

নিলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলটি ৬৮ দশমিক ৩০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ২ হাজার কোটি টাকা।

ফেনীর রানীরহাটের দোস্ত টেক্সটাইল মিলটি ২১ দশমিক ৪৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

সাভারের আফসার কটন মিলটি ৫ দশমিক ৫২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ৯১ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রামের এশিয়াটিক কটন মিলটি ২৪ দশমিক ৯৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর আনুমানিক মূল্য ২৫৫ কোটি টাকা। মিলটি চালু করতে প্রযোজন হবে ২৫৫ কোটি টাকা।

বন্ধ মিলগুলো পিপিপির মাধ্যমে চালু করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ায় এখন মন্ত্রণালয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।

সূত্র জানায়, মিলগুলো বন্ধ থাকায় একদিকে মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে এসব দেখভাল করার জন্য প্রতিবছর মন্ত্রণালয়কে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। মিলগুলো চালু হলে তাতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়