ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে উটপাখির বাচ্চা জন্ম

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে উটপাখির বাচ্চা জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দর্শনার্থীদের জন্য আনা উটপাখির বাচ্চা হয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী- উটপাখির বাচ্চা দেওয়া এটিই বাংলাদেশে প্রথম।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আনিসুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সাফারি পার্কে আড়াই বছর বয়সি ছয়টি উটপাখি আনা হয়। এর মধ্যে একটি মারা যায়। এখন পার্কে পাঁচটি উটপাখি রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি পুরুষ এবং তিনটি নারী পাখি। ২০১৫ সালে নারী উটপাখিগুলো ৯-১০টি ডিম দেয় কিন্তু ওই ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফোটেনি। গত নভেম্বর মাসের দিকে পাখিগুলো ১৩টি ডিম দেয়। পরে ওই ডিমগুলো ‘তা’ দিতে শুরু করে। নারী উটপাখি দিনে আর পুরুষ উটপাখি রাতে পালাক্রমে ডিমগুলোতে তা দেয়।

গত ১৬ জানুয়ারি ডিম ফুটে একটি বাচ্চা বেরিয়ে আসে। বাচ্চা সাফারি পার্কে তার বাবা-মার সঙ্গে রয়েছে। অন্য ডিমগুলোয় পালাক্রমে ‘তা’ দিচ্ছে পুরুষ ও নারী উটপাখি। আরও বাচ্চা ফুটবে বলে আশা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

পাখির মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড় উটপাখি। কিন্তু এরা উড়তে পারে না। আবদ্ধ অবস্থায় উটপাখি ৬০-৬২ বছর আর প্রাকৃতিক পরিবেশে ৪০-৪৫ বছর বাঁচতে পারে। এদের ওজন ১৪৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা ২ থেকে ৪ বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। প্রাপ্তবয়স্ক একটি উটপাখির উচ্চতা ৩ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে দৌঁড়াতে পারে।

 



উটপাখির বেশি বিচরণ মরু অঞ্চলে। সাহারা মরুভূমি, দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলে পাওয়া যায় উটপাখি। ৪০-৪২ দিন ‘তা’ দেওয়ার পর ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে।

সাফারি পার্কের এনিম্যাল কিপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উটপাখির বাচ্চাটির আকার মুরগির বাচ্চার চেয়ে একটু বড়। বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার প্রথম কয়েক দিন বাবার পালকে মুখ গুঁজে বসে ছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাচ্চাটি মা-বাবার সঙ্গে বেড়াতে থাকে। বাচ্চা লালনপালনে বাবাই বেশি ভূমিকার রাখে।

তিনি জানান, বাচ্চাটিকে দর্শনার্থীদের খুব কাছে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। একটু বড় হলেই বেষ্টনীর কাছাকাছি আসতে দেওয়া হবে। খুব সতর্কতার সঙ্গে বাচ্চাটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। বাচ্চাটির কাছে যাওয়া হচ্ছে না। কাছে গেলে উটপাখিরা ছোটাছুটি করবে। এতে তাদের পায়ে চাপা পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এখনো জানা সম্ভব হয়নি এটি ছেলে নাকি মেয়ে বাচ্চা।



রাইজিংবিডি/গাজীপুর/২৫ জানুয়ারি ২০১৭/হাসমত আলী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়