ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৪তম বার্ষিকী

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৩ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৪তম বার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৪তম বার্ষিকী আজ।১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক বাঙালি জাতির জনক, আফ্রো-এশিয়া-ল্যাটিন আমেরিকার মুক্তিকামি মানুষের মহান নেতা এবং গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়।

১০ অক্টোবর ১৯৭২ ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে বিশ্বশান্তি পরিষদ এক ইশতেহারে বঙ্গবন্ধুকে শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বশান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারে ভূষিত করে। পরের বছর ২৩ মে বিশ্বশান্তি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনে  বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করেন বিশ্বশান্তি পরিষদের সেক্রেটারি-জেনারেল রমেশ চন্দ্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৪তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী প্রদান করেছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের এ উপলক্ষে আজ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৪তম বার্ষিকী উদযাপন  করছে । জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ এ বছর প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক প্রদান করছে ।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রদত্ত বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাঁর অতুলনীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করে। তাঁর নির্দেশে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় হয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।’

প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি, সাম্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন।’

বঙ্গবন্ধু ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ এবং ‘সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগও সরকার গঠন করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সব সময়ই জাতির পিতার এ নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করছে।’

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মে ২০১৭/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়