ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, পানি কমেছে ৫৩ পয়েন্টে

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ২১ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, পানি কমেছে ৫৩ পয়েন্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

সোমবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে। তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার অববাহিকার নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে, এই অঞ্চলেরও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে।

এ ছাড়া গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা আগের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে এই নদী বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার প্রায় ৪১ সেন্টিমিটার থেকে ১০৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি অব্যাহত থাকবে।

সংস্থাটির বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৫৩টি পয়েন্টেই একদিনে পানি কমেছে। পানি বেড়েছে ৩৫টি পয়েন্টে। দুটি পয়েন্টের পানি আগের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে নদ-নদীর ২৭টি পয়েন্টে এখনো পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৯০টি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বন্যা তথ্য কেন্দ্রটি।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশের আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ২০ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বিভিন্ন পয়েন্টে আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে, এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে। পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে।

মেঘনা অববাহিকার নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের বালু, তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, টুংগি খাল দিয়ে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে শীতলক্ষা নদী নারায়ণগঞ্জে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৭/হাসান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়