রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাল সনদপত্র দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের দায়ে জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- রাজধানীর বাড্ডা সার্কেলের রেজিস্ট্রার ও কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রাক্তন সাব-রেজিস্ট্রার পরিতোষ কুমার দাস এবং কুমিল্লার বরুডার সাব-রেজিস্ট্রার ও চট্টগ্রামের পটিয়ার প্রাক্তন সাব-রেজিস্ট্রার মিনতি দাস।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রেজিস্ট্রার পরিতোষ কুমার এমএসসি ও বিএসসি (সম্মান) পাস না করেও জাল সনদপত্র দেখিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হন। পরিতোষ কুমার দাস পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জাল সনদপত্র সম্বলিত তথ্য খাঁটি হিসেবে দাখিলের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হতে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে বেতন-ভাতা বাবদ ১ কোটি ১২ লাখ ৬৩৬ টাকা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অন্যদিকে মিনতি দাস বিএ (সম্মান) পাশ না করেও জাল সনদ দাখিল করে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে সংস্থাপন মন্ত্রণালায় থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হন। দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। মিনতি দাস পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জাল সনদপত্র দেখিয়ে ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে বেতন-ভাতা বাবদ ১০ লাখ ৯২ হাজার ৭৬৮ টাকা নিয়েছেন।
ওই অপরাধে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৭/এম এ রহমান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন