ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যসেবা কন্ট্রোল রুম

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যসেবা কন্ট্রোল রুম

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে আসা ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে, তা সুসংহত করতে স্বাস্থ্যসেবা কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর ৮৮০৩৪১৬৩৮১।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসে কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

বুধবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় প্রযুক্তিনির্ভর এই স্বাস্থ্যসেবা কন্ট্রোল রুমটি হবে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে স্বাস্থ্য সেবাদানের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার। সমস্ত সেবার ইলেক্ট্রনিক উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, প্রতিবেদন তৈরি এবং প্রয়োজনমতো নির্দেশনা দান, সব সেবাদানকারীর মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে।

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা এবং সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম। আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মুজিবুল হক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. নবরত্ন স্বামী প্রানিথারান, ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হরিকৃষ্ণ বাশকোটাল, ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি ডা. হাসান এবং ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ডা. তৈমুর হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আজাদ আশা প্রকাশ করে বলেন, কন্ট্রোল রুমটি রোহিঙ্গা শিশু ও নর-নারীদের সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয়ের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে। দেশি-বিদেশি ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের তথ্যের চাহিদা পূরণ করবে। স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরো ভালো হবে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দ্বিতীয়বারের মতো কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ১৬ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর পরিদর্শন করেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই সমন্বয় কমিটিতে দেশি-বিদেশি সব সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছেন। এই কমিটির মাধ্যমে সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মোট ৩৮টি মোবাইল মেডিক্যাল টিম এবং বিদ্যমান সরকারি ও দাতা সংস্থা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১২টি স্থায়ী সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্যমান সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সেবাদানের সুযোগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের সব শিশুকে টিকাদানের জোরদার কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪০ হাজারেরও বেশি শিশুকে হাম, রুবেলা, পোলিওর টিকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। টিকাদানের গতি যথেষ্ট ভালো হলেও এই গতি আগামী শনিবার থেকে দ্বিগুণ করা হবে। এজন্য বিদ্যমান ২৫টি টিকাদান দলের সাথে আরো ২৫টি টিকাদান দল যুক্ত করা হচ্ছে, যারা ২৭০টি অস্থায়ী টিকাদান ক্যাম্প থেকে শিশুদের পর্যায়ক্রমে টিকা দিচ্ছে। প্রতিটি টিকাদান দলে কমপক্ষে চারজন টিকাদান কর্মী থাকে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়