ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি-দল যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ৪ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি-দল যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে এ পরামর্শ দেয় দলটি।

সংলাপে সভাপতিত্ত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যে প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ করে। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ সংলাপ চলে দুই ঘণ্টাব্যাপী।

সংলাপ শেষে দলটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করারসহ ১২টি প্রস্তাবনা দিয়েছি ইসিকে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েন চাই। বর্তমান সরকারের অধীনে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে এর অধীনে নির্বাচন করতে হবে।’

তরিকত ফেডারেশনের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনা হলো- নির্বাচনের সময় কোনো অপশক্তি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য ইসির তত্ত্বাবধানে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা। নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ করা। ভোট গ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি চালু করা। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার রোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শিক দল নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। তফসিল ঘোষণার ৬০ দিন আগে ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

এদিকে বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির  (বিজেটি) সঙ্গে ইসির সংলাপসূচি থাকলে দলটি বিশেষ কারণে আসতে পাবরে না জানিয়ে পরবর্তীতে সময় চেয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজ, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপের ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির মতবিনিময় শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৬ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে  রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। রোডম্যাপ অনুযায়ী এ সংলাপ হচ্ছে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ ঢাকা/৪ অক্টোবর ২০১৭/হাসিবুল/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়