ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতিতে শনিবার শোভাযাত্রা

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪০, ২৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতিতে শনিবার শোভাযাত্রা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো স্বীকৃতি দেওয়ায় সরকারের প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে।

শনিবার দুপুর ১২টায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শোভাযাত্রা শুরু হবে। জেলা-উপজেলায়ও বর্ণাঢ্যভাবে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

শুক্রবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেসকো ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ উপলক্ষে সরকারের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এই শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান সচিব।

শফিউল আলম জানান, রাজধানীকে কেন্দ্রীয়ভাবে আনন্দ শোভাযাত্রা ধানমন্ডি থেকে শুরু হয়ে কলাবাগান-সায়েন্সল্যাব হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। ঢাকার বাইরে সব জেলা ও উপজেলায়ও আনন্দ শোভাযাত্রা হবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভায় বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্যের পর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ভাষণটি বাজানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার শোর মাধ্যমে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তীসভা, জানান সচিব।

তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিশু-কিশোর, ক্রীড়া সংগঠক ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিককর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভারের সদস্যরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া পুলিশের সুসজ্জিত ঘোড়া, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুসজ্জিত বাদকদল, সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি এবং সর্বস্তরের জনগণও আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রাজধানী  প্রাণচাঞ্চল্যমুখর করা হবে। মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠন নিজ নিজ উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দীতে মিলিত হবেন। শোভাযাত্রার সময় রাজধানীতে কোনো রাস্তা বন্ধ থাকবে কি না, তা ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়ে দেবে।

জেলা-উপজেলায় আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে জানিয়ে শফিউল আলম জানান, সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জেলা-উপজেলায় এই কর্মসূচি শুরু করা হবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শোভাযাত্রা সহকারে উপজেলা পর্যায়ে সবাই মিলিত হবেন। জেলা শহরে বিভিন্ন স্থান থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে এক জায়গায় মিলিত হয়ে অনুষ্ঠান হবে।

সচিব বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও সভা আয়োজনে জেলা-উপজেলায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে এই কর্মসূচিতে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই জানিয়ে প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যখন ঘোষণা করা হয়েছিল তখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান করেছি, একইভাবে এটা করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল বড় অর্জন, জাতির জন্য। দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্যই অর্জন। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই, এটা বাংলাদেশের অর্জন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৭/নঈমুদ্দীন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়