ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

মুসলিমবিদ্বেষী টুইট করে তোপের ‍মুখে জার্মান এমপি

শামিমা নাসরীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুসলিমবিদ্বেষী টুইট করে তোপের ‍মুখে জার্মান এমপি

গত ডিসেম্বর মাসে পার্লামেন্টে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে ক্ষোভ দেখান এমপি স্টর্চ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলিমবিদ্বেষী ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে নববর্ষের শুরুতেই জার্মানির পার্লামেন্টের এক সদস্য তোপের মুখে পড়েছেন।

জার্মানির কট্টর ডানপন্থি এএফডি পার্টির উপনেতা ও সংসদ সদস্য বিট্রিক্স ভন স্টর্চ তার টুইটের কারণে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

ওই মন্তব্যের পর সোমবার থেকে বিট্রিক্স ভন স্টর্চের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটে তিনি বলেন, কোলোন পুলিশ বর্বর, গণধর্ষণকারী মুসলিমদের বিষয়ে নমনীয় আচরণ করছে। কোলোন পুলিশ ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে আরবিতে একটি টুইট করার পর তিনি এই অভিযোগ করেন। যদিও পুলিশ ইংরেজি, ফরাসি, আরবি ও জার্মানসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় টুইট করেছে।

স্টর্চের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুলিশ। টুইটার জানিয়েছে, স্টর্চ নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এ কারণে ১২ ঘণ্টার জন্য তার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। এরপর তিনি ওই একই পোস্ট ফেসবুকে দিয়েছেন। সেখানেও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। 

কোলোন পুলিশ জার্মান নিউজ ম্যাগাজিন দার স্পাইজেলকে বলেন, পার্লামেন্টের এই সদস্য কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত কি না বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছিল। তবে তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এটা করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘৃণ্য বক্তব্য দেওয়ার বিরুদ্ধে জার্মানি একটি আইন পাস করার এক মাস পর এ বিতর্ক সামনে এল। এদিকে যেসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘স্পষ্টত অবৈধ’ বক্তব্য মুছে ফেলবে না- তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার।

স্টর্চের দল তার বক্তব্যের পক্ষাবলম্বন করে বলেছে, তার বক্তব্য মুছে ফেলা এক ধরনের সেন্সরশিপ আরোপ করা। এএফডি নেতা অ্যালিস উইডাল ফেসবুকে লিখেছেন, কর্তৃপক্ষ আমদানি করা, খুনে, হেনস্তাকারী, দুষ্কৃতকারী, ছুরিকাঘাতকারী অভিবাসীদের কাছে নত হয়ে পড়েছে।

দুই বছর আগে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় নারীদের ওপর কয়েকটি হামলার ঘটনায় কোলোন বিতর্ক সামনে আসে। ওই হমালার জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা হয়। উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত শত শত মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরের বছর এই শহরের পুলিশ সমালোচনার মুখে পড়েছিল। এরপর এই প্রথমবারের মতো বার্লিনে ‘শুধু নারীদের জন্য’ নিরাপত্তার খাতিরে বিশেষ এলাকা তৈরি করা হয়।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জানুয়ারি ২০১৮/এসএন/রাসেল পারভেজ       

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়