ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নারীর প্রতি সহিংসতারোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নারীর প্রতি সহিংসতারোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারীর প্রতি সহিংসতারোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

তিনি বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতারোধে কেবল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমই নয়, নারীর সম্পদের অধিকার নিশ্চিত, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে নারীর সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) উদ্যোগে এবং সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে ‘অ্যাড্রেসিং ভায়োলেন্স অ্যাগনেস্ট উইমেন অ্যান্ড এনশিওরিং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক এক সেশনে তিনি এ কথা বলেন। এটি বিডিএফের তৃতীয়বারের মতো আয়োজন। ২০০৯ সালে প্রথম ও ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এ জাতীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

চুমকি বলেন, শুধু তাই নয়, সহিংসতার কারণগুলোও সমাধান করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে নারীকে ক্ষমতায়িত করা পাশাপাশি তার অধিকার নিশ্চিত করলে এর প্রতিরোধ সম্ভব।

তিনি বলেন, নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা নির্মূলে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীকে ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে একটি সমাধান খুঁজে পেতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ইউমেন চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমেদ, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলিসন ব্লাক, ইউএন উইমেন এর শেকো ইসিকাওয়া। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম।

সেলিমা রহমান বলেন, সমাজের বিভিন্ন খাতে নারীর উন্নয়ন হয়েছে সত্য, কিন্তু পারিবারিক সহিংসতার হার কমেনি। এক্ষেত্রে জেন্ডার সমতায় নারীর উন্নয়ন লক্ষ্যণীয় নয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে নারীকে সমাজের মূলধারায় আরো সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে নারীর সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য প্রয়োজন জেন্ডারবান্ধব সমতা।

বক্তারা বলেন, নারীকে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যাপক অংশগ্রহণ, শিক্ষার প্রসার, সম্পদের অধিকার নিশ্চিত ও পারিবারিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

তারা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে তার একক প্রচেষ্টাই নয়, এক্ষেত্রে সমাজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, আইনের বাস্তবায়ন, পুলিশের নজরদারিত্ব বাড়ানো ও সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী  আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপর আটটি কর্মঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনগুলো হলো-কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসকরণ, অধিকতর বৈদেশিক বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতের আরো বেশি অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা ও দক্ষতার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নতুন নতুন ধারার প্রবর্তন, বৈষম্য রোধ ও সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, নারী নির্যাতন রোধ ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ, নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন এবং শহরমুখী গ্রামীণ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ, প্রতিবন্ধকতাসমূহকে সুযোগে রূপান্তরকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সমন্বিত ও সুসংহত অর্থায়ন এবং বিবিধপক্ষের অংশীদারিত্ব শক্তিশালীকরণ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জানুয়ারি ২০১৮/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়