ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণে বিধি লংঘনের অভিযোগ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণে বিধি লংঘনের অভিযোগ

কেএমএ হাসানাত : সরকারি চাকরিজীবীরা বিদেশ ভ্রমণে আরোপিত বিধিবিধান অনুসরণ করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণ প্রস্তাবে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এই পরিপত্রে বিদেশ ভ্রমণ প্রস্তাব দেয়ার ক্ষেত্রে একজন সরকারি চাকরীজীকে কী কী বিষয় মেনে চলতে হবে তা স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এরপরও সরকারি চাকরিজীবীরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা মেনে চলছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এই নিয়ম না মেনে চলার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ বিভাগে প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, প্রেরিত প্রস্তাবে বিদেশ ভ্রমণের নির্দেশনসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন ও অনুসরণ করা হচ্ছে না। এমনকি চিকিৎসা ছুটির ক্ষেত্রেও ডাক্তারের উপদেশ পত্র অথবা দালিলিক তথ্যাদি সঠিকভাবে পাঠানো হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ব্যক্তিগত কারণের আওতায় চিকিৎসা, পারিবারিক আতœীয় স্বজন/বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে সাক্ষাৎ/ধর্মীয় কারণ/তীর্থস্থান পরিদর্শনের জন্য বিদেশ সফর করা যেতে পারে।

ধর্মীয় কারণে (হজের জন্য) ও চিকিৎসা ব্যতীত প্রতি তিন বছরে ১ বার সর্বোচ্চ ১৫ দিনের জন্য বিদেশে অবস্থান করা যেতে পারে। ধর্মীয় কারণে (হজের জন্য) কর্মকর্তার ইচ্ছা অনুযায়ী সর্Ÿোচ্চ ৪৫ দিনের জন্য বিদেশে অবস্থান করতে পারবেন। চিকিৎসার কারণে মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী এবং মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশকৃত সময়সীমা অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।

অন্যদিকে, দাপ্তরিক কারণে বিদেশ ভ্রমণের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- দাপ্তরিক কারণে বছরে একজন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৬ বার বিদেশ যেতে পারবেন। এর অধিসংখ্যক যাত্রার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকটবর্তী কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে/অথবা কাজের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্য কোনো কর্মকর্তাকে বিদেশ প্রেরণ করতে হবে। অতিরিক্ত সচিব/সম পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও তার নি¤œ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনুমোদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব বা ভারপ্রাপ্ত সচিবগণ দেবেন।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের কাছে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ আবেদনে দেখা যায়, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ জারি করা নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। এইসব অনিয়ম দূর করার জন্য পরিপত্রটি জারি হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জানুয়ারি ২০১৮/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়