ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দিনশেষে শ্রীলঙ্কা ১৮৭/১, সিলভা ১০৪*

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দিনশেষে শ্রীলঙ্কা ১৮৭/১, সিলভা ১০৪*

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫১৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। শূন্যরানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিস। তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে ১৮৭ রান তুলেছেন। সিলভা ১০৪ রানে ও মেন্ডিস ৮৪ রানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আগামীকাল শুক্রবার তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন। বাংলাদেশের চেয়ে এখনো ৩২৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। 

স্কোর : দিনশেষে শ্রীলঙ্কা  ১৮৭/১ (৪৮ ওভার) ।
        বাংলাদেশ ৫১৩/১০ (প্রথম ইনিংস)

ধনঞ্জয়া ডি সিলভার চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি : বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ১২তম টেস্টে এটা তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। দিনশেষে ১০৪ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ১২৭ বল খেলে ১৫টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। 

সিলভা-মেন্ডিসের ১৫০ : কুশাল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয় ডি সিলভার ব্যাটে ১৫০ রান পেরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিস ৭১ ও সিলভা ৭৯ রানে ব্যাট করছেন। 

জুটির একশ : দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শতরান যোগ করেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল ডি সিলভা। শুরুটা নড়বড়ে হলেও উইকেটে সেট হয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন এ দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।  

প্রতিরোধ গড়েছে শ্রীলঙ্কা : স্কোরবোর্ডে  কোনো রান না তুলতেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছেন কুশল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। চা-বিরতির সময় ১ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার রান ৫০। মেন্ডিস ১৩ এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভাস ৩৭ রানে ব্যাটিং করছেন। তবে পঞ্চম ওভারে এ জুটি ভাঙার সুযোগ তৈরি করেছিলেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এ পেসারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেন্ডিস।  কঠিন সুযোগ হলেও দ্বিতীয় স্লিপে বলটি তালুবন্দি করতে পারেননি মিরাজ। 

শুরুতেই মিরাজের আঘাত: ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই স্পিনার নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অভিষেকে মেডেন নিয়ে প্রথম ওভার শেষ করেন সানজামুল ইসলাম। প্রথম ওভারটা মেডেন নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। মুস্তাফিজকে আর না এনে, তৃতীয় ওভারে দুই প্রান্তেই স্পিনার নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ, আক্রমণে আনেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। আর এই অফ স্পিনার তৃতীয় বলেই এনে দেন সাফল্য। তার বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে (০)। ২ ওভার ৩ বলে শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ১ উইকেটে শূন্য!

৫১৩ রানে থামল বাংলাদেশ: মুস্তাফিজুর রহমানের বিদায়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। যদিও ৪৭৮ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর পাঁচশ দূরের বাতিঘর বলে মনে হচ্ছিল। শেষ উইকেটে মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের মূল্যবান জুটি গড়ে দলের স্কোর পাঁচশ পার করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।



লাকমালের বাউন্সারে মুস্তাফিজ ডিকভেলাকে ক্যাচ দিয়েছেন (৮)। টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয় উইকেটে ২৩৬ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ১৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। মুশফিক করেন ৯২। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ৫২ ও ইমরুল কায়েস করেন ৪০ রান।

টেস্টে এটি (৫১৩) বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই নিজেদের সর্বোচ্চ ৬৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ।    

পাঁচশ ছুঁল বাংলাদেশ: ৪৭৮ রানে নবম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের পাঁচশ করা শঙ্কায় পড়েছিল। তবে দশম উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর পাঁচশর ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ১২৭ ওভার ৫ বলে পাঁচশ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।

লাঞ্চের পর জোড়া ধাক্কা: লাঞ্চ বিরতির পর ৬ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সানজামুল ইসলামের বিদায়ে ভেঙেছে ৫৮ রানের অষ্টম উইকেট জুটি। লাকশান সান্দাকানের বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরার আগে ৫৬ বলে এক চারে ২৪ রান করেন অভিষিক্ত সানজামুল। পরের ওভারে রঙ্গনা হেরাথের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন তাইজুল ইসলাম (১)। ৭ উইকেটে ৪৭৫ থেকে দ্রুতই বাংলাদেশের স্কোর তখন ৯ উইকেটে ৪৭৮! 

অধিনায়কত্বের অভিষেকে মাহমুদউল্লাহর ফিফটি: ফিফটি থেকে ১ রান দূরে থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন। মাইলফলক ছুঁতে লাঞ্চের পর মাহমুদউল্লাহর লাগল মাত্র এক বল। রঙ্গনা হেরাথের করা প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৯১ বলে ফিফটি করতে ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।



মাহমুদউল্লাহ-সানজামুলের ব্যাটে পাঁচশর আশা: দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় ৩ উইকেট হারিয়ে সাড়ে চারশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৪১৭।

তবে অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম। এরই মধ্যে এই জুটি পঞ্চাশ ছুঁয়েছে। বাংলাদেশও পাঁচশর আশা দেখছে। লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪৬৭ রান। অধিনায়কত্বের অভিষেকে ফিফটি থেকে ১ রান দূরে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ২৩ রানে অপরাজিত আছেন সানজামুল। 

মাহমুদউল্লাহ-সানজামুল জুটির ফিফটি: অষ্টম উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম। লাঞ্চের আগে ৫০ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন এই দুজন। 

সাড়ে চারশ পার: দিলরুয়ান পেরেরার বলটা কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে সীমানার ওপাড়ে আছড়ে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ। আর এই ছয়ে সাড়ে চারশ ছাড়াল বাংলাদেশের সংগ্রহ। ১১২.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪৫৩ রান। মাহমুদউল্লাহ ৪১ ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম ১৭ রানে ব্যাটিংয়ে।

  
রান আউটে কাটা মিরাজের ইনিংস: হেরাথের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে পাঠালেন মাহমুদউল্লাহ। দুই রান খুব সহজেই নিয়ে নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। নন স্ট্রাইক প্রান্ত থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ তৃতীয় রানের জন্য কল দিলেন। নিরুপায় মাহমুদউল্লাহও তার ডাকে দেন সাড়া। কিন্তু নিজের ভুল ডাকে বিপদ টেনে আনেন মিরাজ। ড্রাইভ দিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি। ২০ রানেই শেষ তার ইনিংস। তিনি আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ৪১৭। নতুন ব্যাটসম্যান সানজামুল ইসলাম। 

চারশ পেরিয়ে বাংলাদেশ: লাকমালের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে বল বাউন্ডারিতে পাঠালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আত্মবিশ্বাসী এক শটে প্রথম বাউন্ডারির স্বাদ পান মিরাজ। সেই সাথে বাংলাদেশের রানকে নিয়ে যান চারশর ঘরে। ১০০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৪০৪। 

উইকেট উপহার দিলেন মোসাদ্দেক: এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নিজের উইকেট হেরাথকে উপহার দিলেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান! সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেকের আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৩৯০। নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। 

হেরাথ ফেরালেন মুমিনুলকে: পারলেন না মুমিনুল। ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেতে আজ দরকার ছিল মাত্র ২৫ রান। কিন্তু থেমে গেলেন মাত্র ১ রান যোগ করেই। রঙ্গনা হেরাথে বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন মুমিনুল। ২১৬ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ডাবল সেঞ্চুরি না পেলে পুরো ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল। মুমিনুল ফেরার সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩৭৬। নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।



বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ: টেস্টের প্রথম দিনেই বড় রান পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ সেই রান আরো বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। প্রথম দিন ৪ উইকেটে বাংলাদেশ করেছিল ৩৭৪ রান। এর আগে টেস্টের প্রথম দিনে এত রান করেনি বাংলাদেশ। ২০১২ সালে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিল ২৬৫ রান। 

গলের রেকর্ড ভাঙবে বাংলাদেশ!:  টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৩ সালে গলে ৬৩৮ রান করেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। আজ সেই রেকর্ড কি ভাঙবে মাহমুদউল্লাহর দল?

প্রথম ডাবলের পথে মুমিনুল: ২০১৩ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামেই ১৮১ রান করেছিলেন মুমিনুল। টেস্ট ক্যারিয়ারে সেটাই তার সর্বোচ্চ রান। আজ সেই রান টপকে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পান কি না, সেটাই দেখার।

বাংলাদেশকে পাঁচশ রানের নিচে আটকাতে চায় শ্রীলঙ্কা: বাংলাদেশকে পাঁচশর নিচে আটকাতে চায় শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরা প্রথম দিনের খেলা শেষ সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়