ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন বিল পাস

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি) বিল, ২০১৮’ পাস হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে এ বিল পাস হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনীর প্রস্তাব দিলে কণ্ঠভোটে তাদের প্রস্তাব নাকচ হয়।

বিলে অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানদের সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিধানটিতে বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা বাধা আরোপিত না হইয়া থাকিলে অবসরপ্রাপ্ত কোনো বাহিনী প্রধান সাংবিধানিক কোনো পদে নিয়োগ লাভের জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন না।’

বিলে নিয়োগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাহিনী প্রধানের নিয়োগের মেয়াদ হবে একসঙ্গে বা বর্ধিতকরণসহ নিয়োগ প্রদানের তারিখ হতে অনূর্ধ্ব চার বছর।

বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে বাহিনী প্রধানের বেতন ৮৬ হাজার টাকা হবে। এ ছাড়া বাহিনী প্রধান উক্তপদে বহাল থাকাকালীন নির্ধারিত পদ্ধতি ও হারে প্রযোজ্য অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

বাহিনী প্রধানদের পুনঃনিয়োগ প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, বাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত হওয়া বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করার পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো সামরিক বা অসামরিক পদে পুনঃনিয়োগ লাভে অযোগ্য হবেন। তবে রাষ্ট্রপতি জনস্বার্থে আবশ্যক মনে করলে অবসরপ্রাপ্ত কোনো বাহিনী প্রধানকে চুক্তিভিত্তিতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো অসামরিক পদে নিয়োগ দান করতে পারবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬২নং অনুচ্ছেদ এর বিধানমতে, সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের নিয়োগদান ও তাদের বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ করার বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতাদি সম্পর্কিত কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বর্তমানে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতাদির বিষয়টি সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে স্বতন্ত্রভাবে ব্যবস্থিত না হয়ে যৌথ বাহিনী নির্দেশনাবলী নামীয় ইন্সট্রুমেন্ট দ্বারা অন্যান্য সকল সামরিক কর্মচারীর সঙ্গে একীভূতভাবেই ব্যবস্থিত হচ্ছে। এ ধরনের যৌথ বাহিনী নির্দেশনাবলীর পাঠোদ্ধার অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ কর্তৃক আইন প্রণয়ন করে বাহিনী প্রধানদের নিয়োগ এবং বেতন ও ভাতাদি সম্পর্কিত একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন করা প্রয়োজন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আসাদ/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়