দেশে শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ অপ্রতুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ-সুবিধা এখনো অপ্রতুল। বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে শিশু কিডনি রোগ বিষয়ে মোট ৪৩টি পদ রয়েছে। কিন্ত প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। এমন তথ্য জনানো হয় শিশু কিডনি রোগ বিষয়ে চতুর্থ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত শিশু কিডনি রোগ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্মেলন ইউরোপ, এশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশ থেকে নয়জন বিশ্ববিখ্যাত শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ যোগদান করেন। তারা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে সারা দেশ থেকে পাঁচ শতাধিক শিশুরোগ ও শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ যোগদান করেন।

সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৪ সালে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএনএসবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশে শিশুদের কিডনি রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। পিএনএসবির সুপারিশক্রমে বাংলাদেশে প্রথম ২০০০ সালে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিষয়ে এমডি ডিগ্রি প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন প্রদান করে। এই প্রেক্ষিতে কার্যক্রম শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমইউ)।

পিএনএসবির যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিষয়ে এমডি ডিগ্রি প্রাপ্ত প্রায় ২০ জন চিকিৎসক সারা দেশে শিশু কিডনি রোগীদের সুনামের সাথে চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। যদিও এই সংখ্যা ও দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজে শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ-সুবিধা এখন পর্যন্ত অপ্রতুল।

সম্মেলনে আরো জানানো হয়, এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিশু কিডনি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১০টি শিশু কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাই পিএনএসবি আশা করে অদূর ভবিষ্যতে শিশু কিডনি রোগীদের বিদেশমুখীতা শূন্যতে হ্রাস পাবে।

প্যাডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএনএসবি) এর উদ্যোগে ১১ ও ১২ মার্চ আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। পিএনএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএমডিসির সভাপতি ও বিপিএর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, পিএনএসবির মহাসচিব অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্যাডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক এম এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক রণজিত রঞ্জন রায় প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ মার্চ ২০১৮/সাওন/সাইফুল