ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ১৪ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক

২০০৯ সালে ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল সিরিমনিতে স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক : জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিদ ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার এক শোকবাণীতে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিজ্ঞানের যুগ ছিল স্টিফেন হকিংয়েরই মূর্ত প্রকাশ। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই যুগের অবসান হলো। বিশ্ব মহাবিশ্ব বোঝার মতো বিরল এক ক্ষমতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী হারাল। যিনি পৃথিবীকে আরো বাসযোগ্য করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’

শোক বাণীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে ক্যামব্রিজে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন ব্রিটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

স্টিফেন হকিং কৃষ্ণগহ্বর ও আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক। ১৯৮৮ সালে ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বইয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠেন হকিং। বইটিতে তিনি মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে তত্ত্ব দেন। আন্তর্জাতিকভাবে বেস্ট সেলার হিসেবে বইটির এক কোটি কপি বিক্রি হয়। মহাবিশ্ব নিয়ে প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ বই ‘দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন’। প্রিন্স অব অস্ট্রিয়ান্স পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার, উলফ পুরস্কার, কোপলি পদক, এডিংটন পদক, হিউ পদক, আলবার্ট আইনস্টাইন পদকসহ এক ডজনেরও বেশি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দুরারোগ্য মটর নিউরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও থেমে ছিল না হকিংয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা। ২১ বছর বয়স থেকেই তিনি এ রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতা তাকে বিখ্যাত হওয়া থেকে রুখতে পারেনি। হকিংয়ের বাবা ফ্র্যাঙ্ক হকিং ছিলেন জীববিজ্ঞানের গবেষক। আর মা ইসাবেল হকিং ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মী।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৮/হাসান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়