স্বামী-সন্তানকে বিদায় দিতে গ্রামে গেলেন অ্যানি
নিজস্ব প্রতিবেদক : নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলিমুন্নাহার অ্যানি। ওই দুর্ঘটনায় তার স্বামী ও সন্তান নিহত হয়েছিল।
স্বামী-সন্তান নিহতের খবর এতদিন অ্যানিকে না জানালেও রোববার এ বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে চিকিৎসকরা চেয়েছেন অ্যানি সুস্থ হওয়ার খবরটি জানুক। দেবর মেহেদীর কাছ থেকে খবর জানার পর অ্যানি স্বামী-সন্তানকে শেষবারের মতো দেখতে ব্যাকুল হয়ে পড়েন। তাই চিকিৎসকরাও অ্যানিকে আটকাননি। সাময়িক ছুটি দিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছে গ্রামের বাড়িতে স্বামী-সন্তানকে শেষ বিদায় দিতে।
অ্যানির স্বামীর বাড়ি শ্রীপুরে।
অ্যানির শ্বশুর তোফাজ্জল হোসেন ঢামেকে সাংবাদিকদের জানান, শ্রীপুরে যাওয়ার জন্য অ্যানিকে অনুমতি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইউএস-বাংলার ব্যবস্থাপনায় তাকে শ্রীপুরে নেওয়া হচ্ছে। মেহেদীও সাময়িক রিলিজ নিয়ে নিহত ২৩ জনের জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, অ্যানিকে পুরোপুরি রিলিজ দেওয়া হয়নি। প্রিয়জনকে শেষ বিদায় দিতে বিশেষ অনুরোধে তাকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। মেহেদীকেও সাময়িক রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তবে তারা চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিমানটিতে ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মার্চ ২০১৮/নূর/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন