ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

তামাকের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপ জরুরি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তামাকের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপ জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক : তামাক স্বাস্থ্যহানীকর এবং তা ভোক্তার মৃত্যু ডেকে আনে উল্লেখ করে এর ওপর উচ্চ হারে কর আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ব্যুরো অব ইকোনোমি রিসার্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ফোরাম এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এসডিজি অর্জনে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধির গুরুত্ব শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি করে সংগঠনগুলো।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ৪৩ শতাংশ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে। তামাকজনিত মোট ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করলে তা মোট দেশজ উৎপাদনের জিডিপি প্রায় ৩ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের তথ্য অনুসারে পৃথিবীর যেসকল দেশের মধ্যে তামাক পণ্য সস্তায় পাওয়া যায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যার কারণে দেশে তামাকের ব্যবহার বেশি এবং মৃত্যুর হার বাড়ছে। তাই তামাকের ওপর উচ্চ করারোপ করা প্রয়োজন।

বক্তারা জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক কার্যকর পদ্ধতি তামাকের মূল্য ও কর বৃদ্ধি। সাদাপাতা, জর্দা, গুল, বিড়ি, সিগারেট সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্য হওয়ায় বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের মধ্যে তামাক সেবন হার কর্মবর্ধমান। তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বাড়ালে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তামাকের ব্যবহার ও মৃত্য হার কমে আসবে। দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ব্যয় কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।

বক্তারা আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা যায়, গড়ে ১০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিতে উচ্চ ও নিম্নআয়ের দেশসমূহে ধূমপায়ী এবং ধূমপানজনিত মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। তাই ধোঁয়াযুক্ত তামাকজাত দ্রব্যের পাশাপাশি ধোঁয়াবিহীন তামাক এর মূল্য বৃদ্ধিতেও উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। দেশে তামাকের ওপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো জটিল স্তরভিত্তিক। বর্তমানে একটি শক্তিশালী তামাক নীতি প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি।

তারা জানান, তামাক শুধু স্বাস্থ্য নয় জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছাড়া কৃষি জমিতে তামাক চাষ খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি। সুতরাং সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়ায় কর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অপুষ্টি, তামাকজনিত রোগে ও মৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু প্রমুখ।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৮/হাসিবুল/ইভা 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়