ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দুই মায়ের সাত নবজাতকের চারজনই মারা গেছে

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ২৬ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই মায়ের সাত নবজাতকের চারজনই মারা গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে এন্ড হসপিটালে দুই মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া সাত নবজাতকের চারজনই মারা গেছে। বাকি তিন নবজাতকের দুজনকে বাসায় নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে হসপিটালে এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই নবজাতকদের তিনজন এক মায়ের গর্ভে একসাথে জন্ম নেয় এবং চারজন আরেক মায়ের গর্ভে একসাথে জন্ম নেয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সুইটি খাতুনের গর্ভে ২৪ মে সন্ধ্যা ৭টায় ৭০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে, ২৬ মে ভোর রাতে ৯০০ গ্রাম ওজনের ছেলে জন্ম নেয় এবং এদিনই দুপুর একটায় আরও একজন মেয়ে ৯০০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়। তারা সবাই মারা গেছে।

অপরদিকে সনিয়া আক্তারের গর্ভে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের দুজন সুস্থ হয়ে ওঠায় গত বৃহস্পতিবার ছুটি দেওয়া হয়। তাদেরকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর দুজনের একজন বৃহস্পতিবার মধ্যে রাতে মারা গেছে এবং অপরজনকে এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাসায নিয়ে যাওয়া দুজন নবজাতকের একজন ছেলে ও একজন মেয়ে।

সুইটি খাতুনের তিন নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তার বলেন, সুইটি খাতুনের গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের বাঁচাতে সব ধরণের চেষ্টা করে হয়েছে। তবে সুইটি খাতুনের নবজাতকেরা অনেক বেশী প্রিম্যাচিউর ছিল। সুস্থ নবজাতক জন্ম নেওয়ার বয়স গর্ভ ধারণের চল্লিশ সপ্তাহ। সাধারণ ২৮ সপ্তাহ হলেও নবজাতককে বাঁচানো যায়। দুর্ভাগ্য হল, সুইটি খাতুন গর্ভ ধারণের মাত্র ২৬ সপ্তাহ পর বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, সাধারণত ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজন নিয়ে শিশু জন্ম নিলে ভাল বলা হয়। এর নিচে একটু কম হলেও নব জাতককে বাঁচানো যায়। কিন্তু আমাদের এখানে এক সঙ্গে দুই মায়ের নবজাতকেরাই খুব কম ওজন নিয়ে জন্ম নিয়েছে।

সনিয়া খাতুনের একজন নবজাতক মারা যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সনিয়া খাতুনের চারজন নবজাতক একটু সুস্থ ছিল। তবে তাদের দুজনের রক্তের মিল ছিলো মায়ের রক্তের সঙ্গে। বাকি দুজনের রক্তের মিল নেই মায়ের রক্তের সঙ্গে। মিসেস সনিয়ার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। মৃত্যুবরণকারী শিশুটি ও হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছে যে শিশুটি তাদের দুজনেরই রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ। এ কারণে শিশুদের দেহে জটিলতা তৈরি হওয়ায় একজন মারা গেছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৮/সাওন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়