ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

লোকসানি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার নিন্দা টিআইবির

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ১০ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লোকসানি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার নিন্দা টিআইবির

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি খাতের ঘাটতি পূরণে জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি অব্যাহত রাখা ও বিশেষ কৌশলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রোববার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সংস্থাটি।

বাজেটে সরকারি আয় বৃদ্ধিতে বর্ধিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আরোপের প্রস্তাব এবং অনিয়মে জর্জরিত ব্যাংক খাত সংস্কারে প্রতিশ্রুত উদ্যোগ না থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।

তবে প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সুবিধাবঞ্চিতদের সংখ্যা ও মাসিক ভাতার হার বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের নারী উন্নয়নে এযাবতকালের সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রদানের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে টিআইবি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও যোগসাজশের ফলে ধুঁকতে থাকা ব্যাংক খাত সংস্কারে বাজেট প্রস্তাবনায় কোনো উদ্যোগ না থাকা আমানতকারীদের আস্থার সাথে সরকারের প্রতিশ্রুতির অন্যায্য বরখেলাপ। ব্যাংক ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ ও যোগসাজশের সাথে দুর্নীতিবাজ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার উদ্যোগ না নিয়ে বিদ্যমান করপোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক।’

এছাড়া বাজেট প্রস্তাবনায় বিশেষ কৌশলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অর্থাৎ জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার উদ্যোগকে যেমন অসাংবিধানিক তেমনই অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি সহায়ক বলে উল্লেখ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারি আয় বৃদ্ধির জন্য নেওয়া বেশিরভাগ মৌলিক চাহিদার ওপর কর আরোপের ফলে আদতে মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর এর তীব্র প্রভাব পড়বে, যা সার্বিকভাবে সমাজে আয়-বৈষম্য ও অসাম্য-বিভেদ বৃদ্ধিতেই ভূমিকা রাখবে। উদ্বেগজনক মাত্রায় বাড়তে থাকা বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান নিয়ে বাজেট প্রস্তাবনায় উল্লেখযোগ্য ও দিকনির্দেশনামূলক কোনো উদ্যোগ বা পরিকল্পনা না থাকাটা দুঃখজনক ও হতাশাজনক। তবে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় সুবিধাবঞ্চিতদের সংখ্যা ও মাসিক ভাতার হার বৃদ্ধির প্রস্তাবনা ইতিবাচক হলেও এ উদ্যোগের সুফল পেতে হলে দুর্নীতি প্রতিরোধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষত ডিজিটালকরণের মাধ্যমে অর্থছাড় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

এছাড়া সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালার খসড়ায় জনবান্ধব প্রতিরক্ষা নীতিমালার কথা উল্লেখ থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে বরাবরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা খাতে বিশাল বরাদ্দের বিপরীতে অর্থ ব্যয় বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য উন্মুক্ত হওয়া প্রয়োজন ও প্রত্যাশিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

একই সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থবছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমভাবে অর্থছাড়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে টিআইবি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০  জুন ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়