ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘অর্ধেক মানুষকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫১, ৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘অর্ধেক মানুষকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি, এ কথা আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি যে, যতদিন পর্যন্ত নারী আর পুরুষ সমান সমান করতে না পারবো ততদিন উন্নতি লাভ করতে পারবো না। দেশের অর্ধেক মানুষকে বাদ দিয়ে যে কোন উন্নয়ন সম্ভব নয়।

ভূমি অধিকার মানবাধিকার: ইমপ্লিমেন্টিং দি  ইউএন গাইডিং অফ বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ এর মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ৬৫ ভাগ নারী কৃষি কাজের সাথে জড়িত। আজকে যে খাদ্যের উৎপাদনের কথা বলে আমরা যে গর্ব করছি, আজকে ১৭ কোটি মানুষকে আমরা খাওয়াতে পারছি। মূলত তেমন কোন খাদ্য দ্রব্য আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে না। এর জন্য বীজ ও ফার্টিলাইজার দিয়ে যেমন সরকারকে সাহায্য করতে হবে তেমনি যারা এই জমিতে কাজ শুরু করছে, যারা ফসল ফলাচেছ, তাদের অন্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। নারীরা খুব একটা লোন পায় না।

পাহাড়ীদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, পাহাড়ীদের জন্য একটা রেঞ্জ কমিশন হয়েছে, সিএসসির জন্য, তারও তেমন কোন  অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না, দুঃখ জনক হলেও এটা সত্য। সমতল ভূমিতে যারা আছে, তাদের তো কোন কমিশন নেই, কোন কিছুই নাই। তারা কি অবস্থার মধ্যে বাস করছে। অথচ আমাদের সংবিধান রয়েছে, আমাদের আইন রয়েছে, প্রতিটি মানুষ সংবিধানের দৃষ্টিতে সমান। সে পুরুষ হোক, নারী হোক। কিন্তু সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এই দরিদ্র লোকদের অধিকার রক্ষার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাবো। ভূমির অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের যা যা করনীয়, আমরা করবো।

নিজেরা করি-এর সমন্বয়ক ও এএল আরবির চেয়ারপার্সন খুশী কবিরের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বঞ্চিতা চাকমা, সিডিএ এর নির্বাহী পরিচালক শাহ-ই-মবিন জিননাহ, এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবির।

মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের জমি নিয়ে যাওয়া হচেছ। হায় হায় কোম্পানিগুলো আদিবাসীদের জমির উপর ইন্ডাস্ট্রি করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার নামে আদিবাসীদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। এমনকি পর্যটন উন্নয়নের নামে প্রশাসন আলাদাভাবে আদিবাসীদের জমি দখল করছে।

এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি বলেন, ‘৭০ ভাগ নারী নিযাতিত হন ভূমি থেকে উৎখাত এবং ভূমি দখলের কারণে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বঞ্চিতা চাকমা বলেন, ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া মানে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া। পার্বত্য এলাকা প্রসঙ্গে বলবো, পার্বত্য এলাকা একটু আলাদা। পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হলে তাদের জানিয়ে নেওয়া দরকার। তাহলে তাদের এই যে দেশ ত্যাগ এগুলো কমে আসবে।

খুশি কবির বলেন, সরকারি নীতিমালা থাকলেও বাস্তবায়নে সমস্যা আছে। সমস্যার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আমরা যদি এগোতে পারি তাহলে আমরা একটা সমাধানের দিকে এগোতে পারবো। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাথে পেয়েছি। আমরা আশা করছি তাদের কাছ থেকে আরো বেশি সহযোগিতা পাবো।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জুলাই ২০১৮/সাওন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়